ভালুকায় মায়ের সাথে অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত সহোদর দুই শিশুর মধ্যে জাফরা (৬) নামে এক শিশুর মৃত্য হয়েছে। সোমবার ভোর রাতে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই শিশুর মুত্যু হয়েছে। অপর শিশু মায়ান ও তার মা মনি আক্তার আশংকাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। লাশ গ্রামের বাড়ি গফরগাঁও উপজেলায় নেয়া হয়েছে। তারা ভালুকা পৌরসভার আবুল ফজল সাত্তারের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। পরিবার সুত্রে জানাযায়, গত ৯ ডিসেম্বর রাতে ঘরে কয়েল জ¦ালিয়ে মনি আক্তার তাঁর দুই সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। ঘরে আগুন দেখে তাঁরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। ভালুকা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ভোর পৌনে ছয়টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুনে ঘরের সব আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ওই সময় রবিন মিয়া বাসায় ছিলেন না। গভীর রাতে তাঁদের চিৎকার শুনে ছুটে যান প্রতিবেশীরা। মনি আক্তার তাঁর দুই সন্তান জাফরা ও মায়ান (৮ মাস) উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে জাফরা ও মায়ানের দুই পা-ই কেটে ফেলেন চিকিৎসকেরা। একই হাসপাতালে তাদের মা মনি আক্তারও চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ১৫ দিন মৃত্যের সঙ্গে যুদ্ধ করে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেল শিশুটি। এ বিষয়ে ভালুকা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মায়ের সঙ্গে অগ্নিদগ্ধ হওয়া দুই শিশুর মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিনাময়না তদন্তে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।