জেলার গৌরনদী উপজেলায় আলু চাষী না থাকলেও বিএডিসি’র ডিলারকে প্রায় ১০ টন আলুর বীজ দেওয়া হয়েছে। আর ওই বীজ কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ডিলারের বিরুদ্ধে। উপজেলার টরকী বন্দরের সততা বাণিজ্যালয়ের পাইকারী আলু বিক্রেতা লিলন হোসেন জানিয়েছেন, বিএডিসি’র ডিলার দিদার হাওলাদারের কাছ থেকে তিনি বীজ আলু ক্রয় করেছেন। যা পাইকারী ও খুচরা হিসেবে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। কালোবাজারে আলু বীজ বিক্রির অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে বীজ ডিলার ও টরকী বন্দরের ব্যবসায়ী দিদার হাওলাদার বলেন, শুধু লাইসেন্স রক্ষার জন্য আমাকে বীজ আলু আনতে হয়েছে। এ ব্যাপারে গৌরনদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সেকেন্দার শেখ বলেন, উপজেলায় মাত্র পাঁচ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়ে থাকে। বীজ আলু খাবার আলু হিসেবে বিক্রির কোন সুযোগ নেই। বিএডিসি থেকে বীজ উত্তোলনের পর কৃষি অফিসে তথ্য প্রদানের নিয়ম রয়েছে। কিন্তু ওই ডিলার কি পরিমাণ বীজ এনেছেন তার তথ্য এখন পর্যন্ত দেয়নি। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে ডিলারের লাইসেন্স বাতিলের জন্য সুপারিশ করা হবে। এ বিষয়ে জানতে বিএডিসি’র বরিশালের উপ-পরিচালক রমিজুর রহমানের (০১৭১১-০৬৫৬৭৯) নাম্বারে একাধিকবার ফোন করা হলেও নাম্বার বন্ধ থাকায় তার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।