নোয়াখালী-২(সেনবাগ-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে স্বতন্ত্র কাঁচি মার্কার প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের কর্মী উপজেলার ১নং ছাতারপাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী রোকসানা আক্তারের বাড়িতে হামলার ভাংচুর,লুটপাট ও গুলি বর্ষণের ঘটনায় ছাতারপাইয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন সুমন (৩৮)কে প্রধান আসামি করে ৬৭ জনের নাম উল্লেখ সহ আরও ২০-৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মঙ্গলবার মামলাটি দায়ের করেছেন ছাতারপাইয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী রোকসানা আক্তার। মামলার অন্য আসামিরা হচ্ছে ঃ কামরুল হোসেন (২৫), আবু শোয়েব (২৫), দেলোয়ার হোসেন খোকন (৩৮), মোঃ মিজানুর রহমান (৪৩), জাহিদ(২২), আবদুর রহমান বাহার (৩৫), মাইন উদ্দিন (৩২), মাইন উদ্দীন বাবু, হারুনুর রশীদ (৪৫), আবুল কাশেম (৬০), ওমর ফারুক প্রকাশ কালা ফারুক (৫০), শেখ কামাল (৪২), শাহজাহান মিস্ত্রী (৬০), মনির আহাম্মদ (৬৫), হারুনুর রশীদ (৩৫), তোফায়েল (৩২), মোঃ মিজান (৪২), মোঃ কাফন (৩৪), লিটন ৩৬), মোঃ সুফেল (২৫), মোঃ সোহাগ প্রকাশ কালা সোহাগ (২৭), নাসির উদ্দিন(৩৫), জয়নাল আবেদীন (৫৩), নাইমুল ইসলাম প্রকাশ তুহিন, ওসমান গনি (৩৮), আমান শরীফ নাসির (৩৮),) মোঃ জুয়েল(৩৮), মহিন উদ্দিন (৪২), কামাল উদ্দিন (৪৮), আবদুল খালেক (৩৬), জালাল আহাম্মম্মদ(৪৩), সোয়াব মিয়া (৪৫), নজরুল ইসলাম মানিক (৪২), আশিক রাজিব (২৮), আক্তার হোসেন (৩২), পারভেজ (২৮), ওমর ফারুক (৪৬), দিদারুল আলম (৩২), কামাল হোসেন (৪৫), মামুন(৩৫), সজিব (৪০), মিজান (৩৫), ইয়াছিন (৩৮), সুমন চন্দ্র দাস (৩০), সবুজ চন্দ্র দাস (২৮), খোরশেদ (২৫), ইয়াছিন পাটোয়ারী (৩২),আরিফ (২৫), মোঃ রাসেল(৩২), জহির (২৮), মোঃ আলী হোসেন(৪৭), ফরাদ(২৭), ভুট্ট মিয়া (৪৭), মোঃ কামাল (৪৩), সুমন(২৮), ইসমাইল হোসেন (৩২), জসিম উদ্দিন (৩০)সহ অজ্ঞাত আরো ২০ থেকে ৩০জণ রোকসানা আক্তারের স্বামী ছাতারপাইয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহমান অভিযোগ করে জানান, শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে নৌকা মার্কার প্রার্থী মোরশেদ আলমের ৫০-৬০ জনের একটি দল তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ককটেল বিস্ফোরণ ও পাঁচ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। পরে বাড়ির দরজা-জানালার কাচ ও ভেতরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এব সিসি টিভি ফুটেজসহ ক্যামেরার যন্ত্রপাতি লুট করে নিয়ে যায়। পুলিশকে গুলির খোসাসহ হামলার সরঞ্জাম বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। নৌকা মার্কার প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোরশেদ আলম বলেন, তারা নিজেরা ঘটনা ঘটিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আসামি করে হয়রানির জন্য এই মামলা। সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নাজিম উদ্দিন বলেন, রোকসানার অভিযোগটি মামলা হিসাবে রুজু করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তরা ওই হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও গুলিবর্ষণ করে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।