অভিনব কায়দায় ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন সংসদ সদস্য প্রার্থী আবদুল হাই মাস্টার। আসছে ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ উপলক্ষে কুড়িগ্রাম-১ (নাগেশ্বরী-ভূরুঙ্গামারী) আসনে জাকের পার্টি মনোনিত গোলাপফুল প্রতীক নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন আবদুল হাই মাস্টার। অভিনব পদ্ধতিতে নিজের নির্বাচনী প্রচারণা করে ভোট প্রার্থনা করে অবিরাম ছুটে চলেছেন দুই উপজেলার হাট-বাজার, গ্রাম, শহরসহ প্রতিটি এলাকা। কখনও বাই-সাইকেল, কখনও ছাঁদ খোলা ইজি বাইক আবার কখনও পিকআপে করে হাতে হ্যান্ড মাইক আর গলায় লাল ফিতায় বাঁধা ২টি বাঁশি ঝুলিয়ে নিজেই করেন মাইকিং। এছাড়াও তার কাঁধে ঝোলানো তাকে একটি ব্যাগ, যেখানে রয়েছে তার পরিধানের কিছু কাপরচোপর। তার পরিবহনের গাড়িতে সাজানো গোছানো থাকে তার প্রতীক গোলাপ ফুল। এভাবেই সবার কাছেই করেন ভোট প্রার্থনা। বলে যান, সবার কাছে দোয়া ও ভোট চাই, আমি মাস্টার আবদুল হাই। এভাবেই প্রতিনিয়ত ভোটের মাঠ চষে বেড়ান এই ভোট পাগল আবদুল হাই। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে যেখানেই রাত হচ্ছে সেখানেই খাওয়া দাওয়া করে রাত যাপনও করছেন তিনি। এমনকী অনেকেই তাকে অর্থ সহায়তা দিয়েও নির্বাচনী খরচ চালাতে সহায়তা করছেন। তার ব্যাতিক্রম এই বিষয়টি অনেকেই নানাভাবে আলোচনা-সমালোচনা করলেও ইতোমধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন বলে মনে করছেন আপামর জনতা। খোঁজনিয়ে জানা গেছে তিনি এর আগে ২০০৩ সালে বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ২০০৯ সালে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ সময় স্থানীয় জনসাধারণ নগদ টাকা, বাড়ি বাড়ি চাল ও মুড়ি তুলে তাকে সহায়তা করেছিলেন। উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান থাকাকালীন তিনি পরিষদ এলাকার ড্রেন এবং রাস্তাঘাট ঝাড়ু দিয়ে নিজেই পরিস্কার করে আলোচনায় আসেন। তার এই পরিবেশের উপর বিশেষ কাজের জন্য বিটিভির জনপ্রিয় ম্যাগাজিনমূলক অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে প্রচারের পর বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। পেশা হিসেবে তিনি ভূরুঙ্গামারী উপজলার চর-ভূরুঙ্গামারী উচ্চবিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক হিসাবে শিক্ষকতা করতেন। পরে গেলো বছরের অক্টোবর মাসে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। তিনি জানান, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাতীয়পার্টির একেএম মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাকের লাঙ্গল প্রতীকের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। পরে ২০১৮ সালের নির্বাচনে জাকের পার্টির প্রার্থী হিসেবে গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। সর্বশেষ চলতি নির্বাচনেও জাকের পার্টির গোলাপফুল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন তিনি। আবদুল হাই মাস্টার বলেন, এর আগে আমি ইউনিয়ন পিরষদের চেয়ারম্যান ছিলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবেও ছিলাম। আমার শেষ ইচ্ছে সংসদ সদস্য হওয়ার। দীর্ঘদিন যাবৎ পায় হেঁটে বাইকেল নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছি। ২ উপজেলার প্রতিটি এলাকায় আমি গিয়েছি। তাদের সতস্ফূর্ত সাড়া পাঁচ্ছি আমি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আর মহান আল্লাহ সহায় থাকলে এবারের নির্বাচনে জয় হবে ইনশাআল্লাহ। আর আমি নির্বাচিত হলে স্থানীয় ও জাতীয়সহ বিভিন্ন সমস্যা আমাদের রয়েছে। যেগুলো কেউ সংসদে এখনও উত্থাপন করেনি। আমি সেগুলো উত্থাপন করব। আমার এই প্রস্তাবগুলো সংসদে উত্থাপন হলে আশা রাখি এ অঞ্চলের অনেক উন্নয়ন হবে। দূর হবে দেশের বিভিন্ন সমস্যাও। এছাড়াও এ ই অঞ্চলে প্রধান সমস্যা নদী ভাঙ্গন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, শিক্ষাসহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন করতে পারব ইনশাআল্লাহ। আপনারা আমাকে আপনাদের ভোটটা দিয়ে আমাকে আপনাদেও সেবা করার সুযোগ দেবেন।