খুলনা জেলার দিঘলিয়া সদর ইউনিয়নের দিঘলিয়া গ্রামে ভৈরব নদীর তীরে অবস্থিত জামান জুট মিলস কর্পোরেশনে রহস্যজনক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ রহস্যজনক আগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে। যা মুহূর্তের মধ্যে সারা মিলে ছড়িয়ে পড়ে। খুলনার বিভিন্ন ফায়ার স্টেশনের ৯টি ইউনিট টানা পৌণে ২ ঘন্টা নিরলস প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। মিল কর্তৃপক্ষ ও ফায়ার সার্ভিসের সূত্রে জানা যায়, গতকাল বড় দিন উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ছিল। আগুনের সূত্রপাত কি ভাবে হয়েছে তা এ মুহূর্তে বলা মুশকিল। রহস্য জনক বলে মনে হয়। গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আগুন পাটের গাঁদায় ও বিভিন্ন মেশিনের ভেতরে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। জামান জুট মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ রিপন মোল্লার নিকট আগ্নিকান্ডের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিলটি বড় দিনের ছুটি ছিল। আমি মিলেই ছিলাম। আমি মিল ত্যাগের পরে আমি আমার মিলে ফায়ারিংয়ের সংবাদ পায়। কি ভাবে আগুন লেগেছে এখনি তা বলা সম্ভব নয়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৬০ কোটি টাকা। মিলের সার্বিক ব্যবস্থাপনা ইন্সুরেন্স করা আছে কিনা এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিষয়টি কৌশল এড়িয়ে যান। বিজেএমএ, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তাবৃন্দ, ব্যাংক কর্মকর্তাবৃন্দ মিলটি পরিদর্শন করেছেন। দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ বাবুল আকতার এ ব্যাপরে বলেন, মিল কর্তৃপক্ষ এখনও আসেনি। ক্ষয়-ক্ষতি নিরূপণ করে রাতে আসতে পারেন। এদিকে অগ্নিকান্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে কথা হয় দিঘলিয়া ফায়ার স্টেশনের অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুদ পারভেজের সাথে। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ফায়ার সার্ভিসের খুলনার ৯টি ইউনিট নিরলস প্রচেষ্টায় পৌণে ২ ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। তবে আগ্নিকান্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত না করে এ মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়।