২৬৯ নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলম এমপিকে হত্যা চেষ্টা ও নির্বাচনী অফিস জ¦ালিয়ে দেওয়ার অভিযোগে স্বতন্ত্র (কাচিঁ মার্কার) প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে নৌকা মার্কার প্রাথী সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ মোরশেদ আলম। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে চৌমুহনী মোরশেদ আলম কমপ্লেক্সএ ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে মোরশেদ আলম করে বলেন, বিগত দুটি সংসদ নির্বাচনে আমি নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। এরই ফলশ্রুতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃতীয়বারের মতো আমাকে নৌকা দিয়ে এখানে পাঠিয়েছেন। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে আমি নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। জনগণ এলাকার উন্নয়নে সন্তুষ্ট হয়ে আমাকে তৃতীয়বার নির্বাচিত করতে মাঠে নেমেছে। এতে ঈর্শান্বিত আমার প্রতিপক্ষরা বিশেষ করে কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক আমার বিরুদ্ধে নানা বিষেদাগার করছে। তার কর্মী সমর্থকরা আমাকে নানান সময় হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। আমাকে রক্তাক্ত করে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেয়ার হুমকি দিয়েছে আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের সমর্থক উপজেলা আওযামীলীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিক। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ ডিসেম্বর সেনবাগের কেশারপাড়ে এক নির্বাচনী সভায় আলাউদ্দিন আলো নামের এক যুবককে দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার উপর হামলা করানো হয়। এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা হামলাকারীকে প্রতিহত করে ও তৎক্ষণাৎ হামলা কারীকে আটক করলে সে জানায় আতাউর রহমান মানিকের নির্দেশে সে এই হামলা চালিয়েছে বলে স্বীকার করেন। পরে পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে থানায় নিয়ে যায় এবং হামলা কারীকে কারাগারে প্রেরণ করে। ওই হামলার ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করলেও পুলিশ এখনো আসামীদের গ্রেপ্তার করেনী। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রাখতে দ্রুত আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবী জানান। এছাড়াও তিনি অভিযোগ করেন,সেনবাগের ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও নোয়াখালী জেলা বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক ডাকাত আব্দুর রহমান চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি ও কটূক্তির অভিযোগে গত ২৮ মে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ তাকে জেলে পাঠায়। সম্প্রতি সে জেল থেকে বেরিয়ে তিনি এলাকায় আওয়ামী লীগ নামধারী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথে হাত মিলিয়েছেন। এই নির্বাচন বিএনপি বর্জন করলেও আব্দুর রহমান কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী আতাউর রহমান মানিকের পক্ষে মাঠে নেমেছেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন এরই অংশ হিসেবে আব্দুর রহমান চেয়ারম্যান গত ২৩ ডিসেম্বর নিজ বাড়িতে ভাঙচুরের সাজানো নাটক মঞ্চস্থ করে আওয়ামী লীগের ৬৫ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে আতাউর রহমান মানিক ও আব্দুর রহমান গঙরা। একসময় হাওয়া ভবনের সুবিধাভোগী স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক আওয়ামী লীগের বেশ ধরে এখন সেনবাগ আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে বিএনপির শক্ত ঘাঁটি তৈরির পায়তারা করছে বলেও অভিযোগ করেন মোরশেদ আলম। তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন স্বতন্ত্র (কাচিঁ মার্কার) প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক তার পরাজয় নিশ্চিত জেনেই সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ ভন্ডুল করতে সে নৌকা মার্কার নির্বাচনী অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিশঙ্খলা সৃষ্টি মরিয়া হয়ে উঠেছে। তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, পুলিশ প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি নোয়াখালী-২ আসনের জনগণের আশার প্রতিফলন ঘটাতে যেন আতাউর রহমান মানিক, লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিক, আব্দুর রহমানসহ যারা নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করছে এবং আমাকে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এমপি পুত্র সাইফুল আলম দিপু ও সামছুল আলম সুমন সহ প্রিন্ট ও ইলোট্রনিক্স প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।