রাজশাহী-৫(পুঠিয়া-দূর্গাপুর) আসনের নির্বাচনে আ.লীগের নেতাকর্মীরা দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। তাই এ আসনে আ.লীগ স্বতন্ত্র প্রার্থীর মাঝে চড়ম লড়াই হবে। নেতাকর্মীরা বলছেন, দ্বাদশ নির্বাচনে নৌকার পালে ঈগলের থাবা বসানোর সম্ভবনা বেশি রয়েছে। নির্বাচনীয় প্রচারণায় দুই প্রার্থীর পক্ষের নেতাকর্মীরা একে-অপরের বিরুদ্ধে প্রকশ্যে বিভিন্ন রকম কটূক্তি করতে দেখা যাচ্ছে। নৌকা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভেতরে নির্বাচনীয় এলাকায় প্রায় দিনই ছোটখাটো বিচ্ছিন্ন ঘর্টনা ঘটছে। এবার নির্বাচণে আ.লীগের নৌকার প্রার্থী জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক এমপি আবদুল ওয়াদুদ দারা আর ঈগলের স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় আ.লীগের ধর্ম বিষয়েক উপ-কমিটির সদস্য এবং জেলা যুবলীগের সহসভাপতি ওবায়দুর রহমান। এদিকে অন্য কোনো দলের প্রার্থীদের সঙ্গে নির্বাচনীয় এলাকায় কোনো রকম বিরোধ দেখা দিচ্ছে না। শুধু নৌকা স্বতন্ত্র মাঝে ঝামেলা হচ্ছে। এ আসনে ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এরা হলেন, আ.লীগের প্রার্থী আবদুল ওয়াদুদ দারা, জাতীয় পার্টির অধ্যাপক আবুল হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির আলতাফ হোসেন মোল্লা, গণফ্রন্টের মখলেসুর রহমান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম এর শরিফুল ইসলাম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমান। পুঠিয়া উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার রহিম কনক বলেন, নৌকার প্রার্থী আবদুল ওয়াদুদ দারা মনোনয়ন পাওয়ার পর আমার মতো অনেক নেতাকর্মীদের নির্বাচন করার জন্য তিনি নিজে কাউকে ডাকেননি। তিনি মনে করে ছিলেন, তার কাছেই নেতাকর্মীরা যাবেন। মনোনয়ন পাওয়ার পর যারা তার এক সময়ে একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। বরং তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে সবকিছু নষ্ট করে ফেলেছেন। তাই আমরা সবাই বাধ্য হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করছি। ওবায়দুর স্বতন্ত্র প্রার্থী নতুন হলেও মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তার পক্ষে ব্যাপক সাড়া দিচ্ছেন। তার ব্যক্তি ইমেজ পরীক্ষিত এবং সে কর্মীবান্ধব। সে রাজনৈতিক নেতা হিসাবে দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর পেশার মানুষের মাঝে ইতোমধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। যতদিন যাচ্ছে তত স্বতন্ত্র প্রাথীর ঈগলের ভোটের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজশাহী জেলা আ.লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল হক মাসুদ বলেন, দারা ২০০৮ হতে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১০ বছর এমপি ছিলেন। এমপি থাকাকালীন সময়ে দুই উপজেলার আ.লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীদের দূরে ঠেলে দিয়ে হাইব্রিড নেতাকর্মীদের দিয়ে রাজনীতি করেছে। আমার নামে মিথ্যা মামলা করায়ে র্দীঘদিন আমাকে জেলে রাখার ব্যবস্থা করেছেন। তার নিজ বাড়ির এলাকায় এমপি থাকা অবস্থায় তিনটি খুন হয়ে ছিল। তারপর, তিনি ক্ষমতা থাকাকালীন সময়ে পুঠিয়া উপজেলায় স্থানীয় নির্বাচনে জনপ্রতিনিধি হতে পারেননি। সে প্রতিহিংসার রাজনীতি করে আসছেন। এবার ভোটের মাধ্যমে প্রতিবাদ করার সুযোগ এসেছে। রাজশাহী জেলা পরিষদের সদস্য আশাদুজ্জামান মাসুদ বলেন, গত ১০ বছরে নির্বাচনীয় এলাকায় দারা এমপি থাকা অবস্থায় যে পরিমাণ শিক্ষা বাণিজ্য করেছে তার প্রতিফলন ঘটবে আগামী ৭ তারিখে ভোটের মাধ্যমে হবে। এবার নির্বাচনে আ.লীগের প্রার্থী আবদুল ওয়াদুদ দারা নৌকার প্রাথীর সঙ্গে চড়ম প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমানের।