আসন্ন ৭ জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যশোরের মণিরামপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে হামলা করে ভাংচুর কমপক্ষে ১০ জনকে মারপিট করে গুরুতর আহত করেছে। এ ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। শুক্রবার রাত অনুমান ৯টার দিকে যশোর-০৫ (মণিরামপুর) নির্বাচনী এলাকার ঝাঁপা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় হামলাকারী ৩ জনকে আটক করেছেন বলে মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এবিএম মেহেদী মাসুদ নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্র জানায়, শুক্রবার রাত অনুমান ৯টার দিকে ঝাঁপা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম ইয়াকুব আলীর ঈগল পাখি প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয়ে নৌকা প্রতীকের ১০ থেকে ১২ জন কর্মী অতর্কিত হামলা করে। এ সময় দুর্বৃত্তরা অফিস ভাংচুরসহ সেখানে থাকা স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী রওশন জামান টুটুল, আতিয়ার রহমান, তরিকুল ইসলামসহ কমপক্ষে ১০ জনকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দু’প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে সহকারী রিটার্নিং অফিসার জাকির হোসেনসহ থানা পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা এলাকায় অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে সক্ষম হন রাতেই।
ওসি এবিএম মেহেদী মাসুদ জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত সালাউদ্দিন বাবলা, আকাশ হোসেন ও নুরুজ্জামান নামের ৩ জনকে রাতেই আটক করা হয়েছে। মামলরা অন্যান্য আসামীদের আটকের ব্যাপারে জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল হক মন্টু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নৌকার প্রতীকের কর্মীরা ঝাঁপাসহ বিভিন্ন জায়গায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের উপর হামলা, মারপিট ও হুমকি অব্যহত রেখেছে। এসব ঘটনায় প্রার্থীদের কর্মীছাড়াও সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
এ দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব এস এম ইয়াকুব আলী এ প্রতিবেদকে জানান, আমার জনপ্রীয়তা এবং জনগণের স্বতঃস্ফুত ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারনায় অংশগ্রহণ দেখে নৌকা প্রতীকের নেতা-কর্মীদেরা দিশেহারা হয়ে একের পর এক আমার কর্মীদের উপর হামলা, অফিস ভাংচুর ও হুমকি-ধামকি অব্যহত রেখেছেন। তিনি সুষ্ঠ নির্বাচন এবং নির্বিঘ্নে ভোটারদের ভোটদানের জন্য নির্বাচন পরিচালনার সকল পর্যায়ের প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।