রোববার বছরের শেষ দিনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে দেশের তেষট্টি জেলায় ‘সাঁতাও’ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় তেষট্টি জেলায় একযোগে বিকেল ৪ টায় ‘সাঁতাও’ চলচ্চিত্রটি বড় পর্দায় দেখা যাবে। দেশের ১৭টি চলচ্চিত্র নিয়ে গত ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ থেকে আগামী ৫ জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ‘গণজাগরণে চলচ্চিত্র উৎসব’টি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের সহকারী পরিচালক জনাব ইকরামুল ইসলাম বলেন, গণজাগরণে শিল্প আন্দোলনের মাধ্যমে, অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শিল্প নিয়ে পৌঁছে যাওয়ার আকাক্সক্ষায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের ব্যবস্থাপনায় চলচ্চিত্র উৎসবটির আয়োজন করা হয়েছে। শৈল্পিক মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র গুলো কেবল ঢাকা নয়, ঢাকার বাহিরের দর্শকদের মাঝেও পৌঁছে যাবে এই আয়োজনে মধ্য দিয়ে। ‘সাঁতাও’ চলচ্চিত্রের পরিচালক খন্দকার সুমন বলেন, তেষট্টি জেলায় বড় পর্দায় একযোগে একটি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হওয়া নিঃসন্দেহে বিস্ময়ের ব্যাপার। আন্তর্জাতিক যে চলচ্চিত্র উৎসব গুলো হয়, সেখানেও এক যোগে তেষট্টিটি প্রদর্শনী হয় না। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী ভাই সব সময় সুস্থধারার চলচ্চিত্রের সাথে ছিলেন বলেই একযোগে এত গুলো প্রদর্শনী গণ-অর্থায়নে নির্মিত একটি চলচ্চিত্রের ভাগ্যে জুটল। কৃষকের সংগ্রামী জীবন, নারীর মাতৃত্বের সার্বজনীন রূপ এবং সুরেলা জনগোষ্ঠীর সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নায় গল্প চলচ্চিত্রের পর্দায় হাজির করেছে চলচ্চিত্র ‘সাঁতাও’। চলচ্চিত্রটির কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন নির্মাতা খন্দকার সুমন। সহকারি পরিচালক হিসাবে ছিলেন শ্যামল শিশির, সুপিন বর্মণ ও মাসুদ রানা নকীব। গণ-অর্থায়নে নির্মিত এই সিনেমার মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন আইনুন পুতুল ও ফজলুল হক। এর অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোঃ সালাউদ্দিন, সাবেরা ইয়াসমিন, সাক্ষ্য শাহীদ, শ্রাবণী দাস রিমি, তাসমিতা শিমু, মিতু সরকার, ফারুক শিয়ার চিনু, আফ্রিনা বুলবুল, রুবেল লোদী, কামরুজ্জামান রাব্বী, আবদুল আজিজ মন্ডল, বিধান রায়, জুলফিকার চঞ্চল, বিনয় প্রসাদ গুপ্ত, সুপিন বর্মণ, রেফাত হাসান সৈকত, আব্দুল্লাহ আল সেন্টু, আলমগীর কবীর বাদল, রবি দেওয়ান, দীনবন্ধু পাল, হামিদ সরকার, মোঃ হানিফ রানা, আকতার হোসেন, আজিজুল হাকিম শিউস, সাইফুল ইসলাম লিটন, রাসেল তোকদার, মজনু সরকার, আবু কালাম, সিদ্দীক আলী, সুজন মাহমুদ, তাহসিনা আকতার তন্বী, নিশাত তাহিয়াত মিমন এবং তিস্তাবাজার এলাকাবাসী।