মেহেরপুরের মুজিবনগরে নৌকা ও সতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক নারী কর্মী সহ উভয় পক্ষের ৪ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশান (৪৩), সাবেক ছাত্র লীগ নেতা খালিদুজ্জামান খান ডালিম (৪৬), যুবলীগ কর্মী তেলা শেখ (৪৬) ও সাবেক নারী ইউপি সদস্য মুক্তা খাতুন (৩৭)। এ ঘটনায় রোববার সকালে মুজিবনগর থানায় উভয় পক্ষ মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার রাত এগারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, বাগোয়ান গ্রামের পাঠানপাড়ার নৌকার প্রার্থী ফরহাদ হোসেনের একটি নির্বাচনী কার্যালয় রয়েছে। তার দক্ষিণ পাশে মসজিদের কাছে স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর আবদুল মান্নানের (ট্রাকের) পথসভা চলছিলো। প্রফেসর আবদুল মান্নানের বক্তব্যের সময় জোরে মাইক বাজাতে শুরু করে নৌকার সমর্থকরা। এ সময় শহিদুল ইসলাম পেরেশান, খালিদুজ্জামান সহ বেশ কয়েক কর্মী তাদের মাইকের শব্দ কমাতে বললে এই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটনা ঘটে। এতে ডালিম, তেলা শেখ, শহিদুল ইসলাম পেরেশান ও মুক্তা খাতুন নামের এক নারী আহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মোঃ খালেকুজ্জামান খাঁন ডালিম বাদি হয়ে মুজিবনগর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর আবদুল মান্নান জানান, ঘটনাটি দুঃখজনক। তাদের পথসভা এভাবে বাধাগ্রস্থ করা মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হওয়ায় থানায় মামলা করা হয়েছে। বিষয়টি ইলেকশন কমিশনারকেও জানানো হবে। মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা দাবি করেন, তাদের কর্মীদের উপর প্রথমে হামলা হয়েছে। প্রচার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি অফিসের চেয়ারও ভাংচুর করা হয়। বিষয়টি নিয়ে আমরাও মুজিবনগর থানায় মামলা দায়ের করেছি। বাগোয়ান ৫ ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক খাইরুজ্জামান লাভলু বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার দত্ত্ব জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশের একটি দল। পুরো এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেয়। বর্তমানে এলাকার অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সুষ্ঠু তুদন্ত করে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।