আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ড সংসদীয় আসনে সরকারি চাকরিতে কর্মরত থাকার তথ্য গোপন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেই সাথে তথ্য গোপন করায় আদালত তাকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে। জানা যায়, রোববার ৩১ ডিসেম্বর হাইকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। ইসির আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ বলেন, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে ২০১২ সাল থেকে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাজ করে আসছেন। অথচ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রে ব্যক্তিগত তথ্যে তিনি পেশা ব্যবসা (ওষুধ) বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি যে একজন সরকারি চাকরিজীবী, সেই তথ্য গোপন করেছেন। এমনকি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার তালিকায় তার (মোহাম্মদ সালাউদ্দিন) নাম রয়েছে বলে গণমাধ্যমে এসেছে। সংবিধান ও সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার বিধি অনুযায়ী তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না। একই সঙ্গে আদালত সালাউদ্দিনকে খরচা হিসেবে এক লাখ টাকা সাত দিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের ডে কেয়ার সেন্টারে জমা দিতে বলেছেন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে চাকরিরত সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও চট্টগ্রামের সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সীতাকুণ্ড নির্বাহী কর্মকর্তা ও সরকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, এ-সংক্রান্ত কোন চিঠি তিনি এখনো পর্যন্ত পাননি। স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন আপিল করবেন বলে জানান।