জামালপুর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৫টি আসনের মধ্যে দুইটিতে নৌকার প্রার্থী প্রায় সুনিশ্চিত॥৩টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোট যুদ্ধে আ.লীগ প্রার্থী দিশেহারা কোণ ঠাসা হয়ে পড়েছে। জামালপুর-১ দেওয়ানগঞ্জ-বকসিগঞ্জ আসনে নৌকা প্রাথী নুর মোহাম্মদ এবং জামালপুর-৩ মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ আসনের নৌকার প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি’র বিরোদ্ধে তেমন কোন শক্তিশালী প্রার্থী না থাকায় দুইজনের বিজয় প্রায় সুনিশ্চিত তাই তারা ফুরফুরা মেজাজে রয়েছেন। এ ছাড়া জামালপুর-২ ইসলামপুর আসনের নৌকার প্রাথী ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান,জামালপুর-৪ সরিষাবাড়ি আসনের প্রার্থী মাহবুবুর রহমান হেলাল এবং জামালপুর-৫ জামালপুর সদর আসনের নৌকার প্রার্থী সাবেক মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ তারা ৩জন স্বতন্ত্রপ্রাথীদের ভোট যুদ্ধে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৩৮জামালপুর-১আসনটি ভারতীয় সীমান্তবর্তি গারপাহারের তীরঘেষা দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত। স্বাধীনতার পর থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত জাতীয়পার্টি ৪বার বিএনপি ২বার এবং আওয়ামী লীগ টানা ৫ বার জয়ী হয়েছে। এবারও নৌকার কোন বিকল্প নেই,কারণ নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোন হেভী ওয়েট প্রার্থী না থাকায় আসনটি প্রায় সুনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ১ হাজার ৩শ ৬৬ জন। ১২০টি ভোট কেন্দ্রে ভোটারতাদের পছন্দনীয় প্রার্থীকে আগামী ৭ জানুয়ারী ভোট প্রদান করবেন। এ আসনে মোট চার জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন তারা হলেন- জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল প্রতীক) এস এম আবু সায়েম, আওয়ামী লীগের (নৗকা প্রতীক) নূর মোহাম্মদ, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের (গামছা প্রতীক) আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং তৃনমূলবিএনপির (সোনালী আঁশ প্রতীক) মো. গোলাম মোস্তফা। এ আসনে আওয়ামী প্রার্থী নূর মোহাম্মদ তার প্রচার-প্রচারণার জুরেসুরে চালিয়ে মাঠ দখলে নিয়েছেন। অবশ্ষ্টি বাকী তিনজন প্রার্থীর চোখে পড়ার মত মাঠে তেমন কোন প্রচার নেই। তাই এই আসনে নৌকার প্রার্থী নুর মোহাম্মদের বিজয় সুনিশ্চিত বলে মনে করছেন এলাকাবাসি।
১৩৯ জামালপুর-২ইসলামপুর আসনে (নৌকা প্রতীক)-(স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতীক) এর মধ্যে হ্ড্ডাা-হাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা
১৩৯-জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনটি উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এ আসনে নৌকা-স্বতন্ত্র-লাঙ্গলের ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ আসনে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৮শ ৩২জন পুরুষ এবং ১লাখ ৩০হাজার ৯১ জন নারী ১জন হিজরা ভোটারসহ মোট ২লাখ ৬৪ হাজার ৯শ ২৮জন ভোটার রয়েছেন।
স্বাধীনতার পর থেকে ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৮বার, বিএনপির ২বার এবং জাতীয় পার্টি ১বার জাতীয় সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টি এবং বিএনপির আমলে ১বার করে মোট ২বার সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণ করেনি। ৯বার অংশগ্রহণ করে ১বার দলীয় কোন্দলের কারণে পরাজিত হয় এবং মোট ৮বার বিজয় লাভ করে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ।তাই আসনটি মুলত আওয়ামী লীগের শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে সু’পরিচিত। এ আসনে সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত হাজী রাশেদ মোশাররফ নৌকা প্রতীক নিয়ে ৬বার নির্বাচনে অংশ নিয়ে ৫বার বিজয়ী হয়ে একবার তিনি ভূমিপ্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।২০০১ সালে নির্বাচনে দলীয় কোন্দলের কারণে তিনি বিএনপির প্রার্থী সুলতান মাহমুদ বাবু এমপির কাছে পরাজিত হন। তারপর ২০০৮ সালে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসাবে নৌকা প্রতিক নিয়ে ফরিদুল হক খান (দুলাল) এমপি পদে বিজয় লাভ করেন। পরবর্তি তিনি টানা ৩বার নির্বাচিত হয়ে বর্তমানে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এ আসনে মোট ৬জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। তাঁরা হলেন, আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনীত (নৌকা প্রতিক) ফরিদুল হক খান দুলাল, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য জামালপুর ও ইসলামপুর উপজেলা সভাপতি মোস্তফা আল মাহমুদ (লাঙ্গল প্রতিক) ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য জিয়াউল হক জিয়া (স্বতন্ত্র- ঈগল প্রতিক) বিমানবন্দর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাজাহাান আলী মন্ডল (স্বতন্ত্র- ট্রাক প্রতিক) জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য,৭৫এর পরবর্তি ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত ডাঃ খোরশেদুজ্জামান মিশ্রি মিয়ার কনিষ্ঠ সন্তান এসএম শাহিনুজ্জামান শাহিন (স্বতন্ত্র-কাঁচি প্রতীক) এবং তৃর্ণমুল বিএনপির অ্যাডভোকেট হোসেন রেজা বাবু (সোনালী আঁশ) নিয়ে মাঠে নেমেছেন। আসছে ৭ জানুয়ারী নির্বাচন দিন যতই ঘনিয়ে আসছে,ততই যেন ভোটারদের কদর বাড়ছে। ইতোমধ্যে সারা জেলায় পোষ্টারে পোষ্টারে ছেয়ে গেছে। প্রার্থরা তাদের নেতা-কর্মী, সমর্থক নিয়ে কাকডাকা ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে নিজ নিজ প্রার্থীর প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করে যাচ্ছেন। অনেকেই লিফলেট-প্রতীক সম্বলিত হ্যান্ডবিল বিলি করছেন।উঠান বৈঠক এবং পথসভার মাধ্যমে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা তোলে ধরে অব্যাহত রাখতে ভোট প্রার্থনা করে যাচ্ছেন।
স্বরেজমিন ঘুরে ভোটারদের কাছে জানাযায়, এ আসনে বর্তমান সরকারের আমলে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু ৭৫ এর পরবর্তি আওয়ামী রাজনীতিতে যাদের ত্যাগ আর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দুর্দিনে পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতা-কর্মী হিসাবে দলকে বুকে আঁকড়ে রেখেছিলেন তাদের অধিকাংশই মৃত্যু বরণ করেছেন। এখনও যারা জীবিত রয়েছেন তারা উপেক্ষিত,বঞ্চিত অবমুল্যায়িত হয়েছেন। ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান তিনি দ্বিতীয় দফা নির্বাচিত হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত হয়ে গত ১০বৎসরে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের দলে ভিরায়ে নব্য-হাইব্রিড আওয়ামী লীগ সৃষ্টি করে তাদেরকেই তিনি বেশী প্রাধন্য দিয়ে উপজেলা কমিটি থেকে শুরু করে ইউনিয়ন এমনকি ওয়ার্ড় কমিটিতে তাদের বেশীর ভাগ স্থান দিয়েছেন। ফলে প্রবীণ আওয়ামীলীগ, বংশগত আওয়ামী লীগ উপেক্ষিত,বঞ্চিত অবমুল্যায়িত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন খোদ দলের সাবেক ও বর্তমান কমিটির বেশ কিছু প্রভাবশালী আওয়ামী নেতা। একারণে ৭৫এর পরবর্তি দূর্দিনের প্রবীণ ও বংশগত আওয়ামী লীগ পরিবারের বিরাট একটি অংশ দলীয় প্রার্থী নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে ভোট প্রার্থনা মাঠে নামেছে। ফলে আওয়ামী সমর্থকরা চতুর্থ ভাগে বিভক্তি হয়ে পড়ায় সাধারণ ভোটারদের মাঝে নৌকা ঠেকাও বিশাল প্রভাব বিস্তার করেছে। এলাকার সচেতন মহল মনে করছেন, এবারের নির্বাচনে আপতত দৃষ্টিতে (নৌকা প্রতীক) এবং (স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতীক)এর মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দিতা হতে পারে। তবে দেখা যাবে ভোট গণনার পর।
১৪০-জামালপুর-৩ মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ নৌকার প্রার্থী ৬বারের এমপি মীর্জা আজম ফুরফুরে মেজাজে
জামালপুর প্রতিনিধিঃ-১৪০-জামালপুর-৩ মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ উপজেলা নিয়ে আসনটি গঠিত। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ১ হাজার ৮শ ৩০ জন। তারমধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৩ হাজার ৭৩৯ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯১ জন। এআসনটি স্বাধীনতার পর থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাাচনেন মধ্যে আওয়ামী লীগ ৭বার,বিএনপি ২বার,জাতীয় পার্টি ২বার দখলে ছিল। ৭০সালে নির্বাচনে আওয়ামীলী বিজয় লাভের পর ৭৫এর পরবর্তি আসনটি বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির দখলে ছিল। ১৯৯১সালে নির্বাচলে মীর্জা আজম এমপি তিনি মাত্র ২৮বৎসর বয়সে নৌকা প্রতিক নিয়ে প্রথম বার বিজয়ী লাভ করেন। পরবর্তি তিনি ২০১৮ সাল পর্যন্ত টানা ৬বার আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয় লাভ করে ১বার তিনি বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন মির্জা আজম এমপি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে মোট প্রার্থী ৩জন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামীলী কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, (নৌকা প্রতীক) জাতীয় পার্টি (জাপা) মীর শামছুল আলম লিপটন(লাঙ্গল প্রতীক) এবং জাতীয়পার্টি (জেপি) মো.নজরুল ইসলাম (বাইসাইকেল প্রতীক) নিয়ে নির্বাচনী মাঠে লড়ছেন। জাতীয় সংসদে জামালপুর জেলায় ৫টি আসনের মধ্যে ব্যতিক্রম আসন শুধু জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ)। কারণ বিএনপি-জামায়াত জোট নির্বাচনে অংশ না করায় আওয়ামীলী প্রার্থী (নৌকা প্রতীক) এর বিরোদ্ধে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দিতা করার মত কোন প্রার্থী নেই। এলাকাবাসিরা জানিয়েছে নৌকা ব্যতিত দুই প্রার্থীর মাঠ পর্যায়ে তেমন কোন প্রচার প্রচারণা নেই ভোটারদের কাছে।
এ কারণে নৌকার প্রার্থী ৬বারের এমপি মীর্জা আজম তিনি ফুরফুরে মেজাজে আছেন। সুধীমহলের ধারণা, আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে এবারও তিনি বিপুল ভোটের ব্যবদানে বিজয়ী হবেন।
১৪১- জামালপুর-৪ সরিষাবাড়ী আসনে স্বতন্ত্র দুই হেভিওয়েট প্রার্থী সাথে ত্রিমুখী লড়াইয়ে কোণঠাসা আ.লীগ প্রার্থী মাহবুবুর রহমান হেলাল
১৪১-জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী)উপজেলার আটটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত জামালপুর-৪ আসন। এ আসনে পুরুষ ভোটার ১লক্ষ ৪৩ হাজার ৮শ ৭৫জন,নারী ভোটার ১লক্ষ ৪৫ হাজার ৩শ ৮৭জন এবং হিজরা ভোটার ১জন। মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮৯ হাজার ২শ ৬৩ জন। এ আসনে ৭জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাহবুবুর রহমান হেলাল (নৌকা প্রতীক) স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি ডাঃ মুরাদ হাসান (ঈগল প্রতীক) স্বতন্ত্র প্রার্থী তেজগাও কমার্স কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবদুর রশিদ (ট্রাক প্রতীক) জাতীয় পার্টি (জাপা) আবুল কালাম আজাদ (লাঙ্গল প্রতীক) তৃর্ণমুল বিএনপি সাইফুল ইসলাম(সোনালী আঁশ প্রতীক) জাসদ গোলাম মোস্তফা জিন্নাহ(মশাল প্রতীক) ন্যাশনালিষ্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ তারিখ মাহদী (টেলিভিশন প্রতীক)নিয়ে নির্বাচনী মাঠে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ আসনে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসান এমপি তার বিতর্কিত কাজের জন্য প্রতিমন্ত্রী পদ থেকে অব্যাহতির পর এবার তাকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়নি। তাই তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে (ঈগল প্রতীক) নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। এ ছাড়া তেজগাও কমার্স কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবদুর রশিদ (ট্রাক প্রতীক) এই দুই স্বতন্ত্র হেভিওয়েট প্রার্থীর ত্রিমুখী ভোট যুদ্ধে কোণ ঠাসা হয়ে পড়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহবুবুর রহমান হেলাল।
জামালপুর-৫ সদর আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোট যুদ্ধে নৌকা কোন ঠাসা
জামালপুর প্রতিনিধি॥১৪২জামালপুর-৫ সদর। এ আসনটি ১৫টি ইউনিয়ন এবং একটি প্রথম শ্রেনী পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এ আসনে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৪ হাজার ৫শ ৭৮ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৭৭ হাজার ৯শ ০৩ জন এবং হিজরা ভোটার ৭জন। মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৪২ হাজার ৪শ ৮৮ জন।
জেলা সদর এই আসনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি আসন। এ আসনে মোট ৭জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন। তারা হলেন,আওয়ামীলী মনোনীত প্রার্থী সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্য্যালয়ের মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ (নৌকা প্রতীক),স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি,সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সংগঠনিক সম্পাদক,বর্তমানে সদস্য রেজাউল করিম রেজনু(সিআইপি)(ঈগল প্রতীক), জাতীয়পাটি (জাপা)জাকির হোসেন খান(লাঙ্গল প্রতীক),জাতীয়পাটি (জেপি) বাবর আলী খান(বাই সাইকেল প্রতীক),বাংলাদেশ কংগ্রেস আবু সায়েম মোহাম্মদ সাদাতুল করিম (ডাব প্রতীক),ন্যাশনাল পিপলস পার্টি রফিকুল ইসলাম (আম প্রতীক) বাংলাদেশ সুপ্রিম পাটি সৈয়দ মনিরুল হক নোবেল(একতারা প্রতীক) নিয়ে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।
১৯৯১ সালে আসনটি বিএনপির দখলে ছিল। ১৯৯৬ সালের পরবর্তি টানা পাঁচবার আ.লীগ প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। আসনটি আ.লীগের ঘাঁটিই বলা যেতে পারে। তবে ৫বার এই আসনে আ.লীগ দলীয় প্রার্থী বিজয়ী হলেও এবার নবাগত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদকে দলীয় মনোনয়ন নৌকা প্রতীক দেওয়ায় তার বিপরিতে ),স্বতন্ত্র হেভিওয়েট প্রার্থী সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি,সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সংগঠনিক সম্পাদক,বর্তমানে জেলা আ.লীগের সদস্য রেজাউল করিম রেজন ু(সিআইপি)(ঈগল প্রতীক) নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করায় অনেকটাই বিপাকে রয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ।