বাগেরহাটের শরণখোলায় জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় এমাদুল হক খান(৪৩) নামের একজনকে ফিল্ম স্টাইলে কুপিয়ে বাম পা প্রায় বিচ্ছিন্ন সহ বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর জখম করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার সন্ধ্যারাতে উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলা গ্রামে। গুরুতর আহত এমাদুল খানকে উদ্ধার করে শরণখোলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে অবস্থার বেগতিক দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে। আহত এমাদুল হকের ছেলে আঃ রহমান খান জানায়, দীর্ঘদিন ধরে তার চাচা মোস্তফা খান(৪০) এর সাথে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এ ঘটনায় দুই মাস আগে উভয়ের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে এবং এ নিয়ে আদালতে একটি মামলা ও চলমান রয়েছে। রোববার রাতে তার বাবা এমাদুল হক এশার নামাজ পড়তে পার্শবর্তী মসজিদে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সক্সঘবদ্ধ চক্রের হোতা মোস্তফা খানের জামাই সোনাতলা গ্রামের রহমান হাওলাদার(৩৫)এর নেতৃত্বে কয়েকজন সন্ত্রসী ধারালো অস্ত্র দিয়ে দিয়ে সন্ত্রসী এস্টাইলে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে বাম পা প্রায় বিচ্ছিন্ন করে। এ ছাড়া ডান পা, মুখে, নাকে ও পিঠে গুরুতর জখম করে। এ সময় তার ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে দূর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে শরণখোলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ব্যাপারে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশফাক হোসেন বলেন, রোগীর বাম পা প্রায় বিচ্ছিন্ন। শরীরের ডান পা ও পিঠ সহ অন্যান্য জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্নে রয়েছে। তার রক্তক্ষরণ চলছে এবং জীবন আশঙ্কা থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। শরণখোলা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সুব্রত কুমার সরকার বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং তাকে দ্রুত চিকিৎসার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। শরণখোলা থানা অফিসার ইনচার্জ এএইচএম কামরুজ্জামান খান বলেন, এ ঘটনায় আহতের ভাই রিয়াদুল ইসলাম খান থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনা সাথে জড়িত বেল্লাল খান নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের ধরার চেষ্টা চলছে।