জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন বছরের প্রথম দিন জাপানে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের ফলে অন্তত ৩০টি বাড়ি ধসে পড়ে এবং রাস্তায় বড় বড় ফাটল ও গর্ত হয়ে যায়। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে বেশ কয়েকজন।
ভূমিকম্পের কারণে প্রথমে বড় ধরনের সুনামি সতর্কতা জারি করা হলেও পরে তা তুলে নেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, "ভূমিকম্পের ফলে অনেক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে" এবং প্রায় এক হাজার উদ্ধারকর্মী ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া লোকদের সন্ধান করছেন। এই দেশের সেনাবাহিনী গৃহহীনদের খাবার, পানি এবং কম্বল বিতরণ করছে ।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভূমিকম্পের কারণে অন্তত ৪৫ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।
এদিকে জাপানের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত সোমবার প্রাথমিক কম্পনের পর থেকে দেশটিতে ১৫৫টি কম্পন অনুভূত হয়েছে। সামনে আরো ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছিল আবহাওয়া বিভাগ।
ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে জাপান খুবই ভূমিকম্পপ্রবণ। সেখানে ছোট ভূমিকম্প প্রায় নৈমিত্তিক ব্যাপার।
সুনামির প্রাথমিক সতর্কবার্তায় বলা হয়, কোথাও কোথাও ১৬ ফুট উঁচু ঢেউ সৃষ্টি হতে পারে। এর কিছু সময় পর ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের আশপাশের এলাকা, বিশেষ করে ইশিকাওয়া, নিগাতা ও তোইয়ামা প্রিফেকচারে ‘বড় সুনামি সতর্কতা’ সরিয়ে ‘সুনামি সতর্কতা’ জারি করা হয়। তখনো প্রায় ১০ ফুট উঁচু ঢেউয়ের আশঙ্কা ছিল।
২০১১ সালের ফুকুশিমা বিপর্যয়ের বছরের পর থেকে বড় সুনামি সতর্কতা ছিল এটাই প্রথম। আর নতো অঞ্চলে রেকর্ড রাখা শুরু হওয়ার পর থেকে এটাই সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের আশপাশের তোইয়ামা, ইশিকাওয়া ও নিগাতা প্রিফেকচারে প্রায় ৩৩ হাজার ৫০০ বসতঘর বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। ইশিকাওয়ার ওয়াজিমা সিটি ফায়ার ডিপার্টমেন্ট বলেছে, তারা অন্তত ৩০টি ভবন ধসে পড়ার খবর পেয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি