বগুড়ার শেরপুরের ঝাঁজর গ্রামে জমির আলগা মাটি তোলাকে কেন্দ্র করে ১ জানুয়ারি সোমবার সন্ধায় মারপিটের ঘটনায় নারীসহ ৭ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন- ওই গ্রামের জোৎস্না খাতুন (৩৯), ফরিদ উদ্দিন (৩৫), আবদুল লতিফ (৪৬), নাজমা খাতুন (৩২) আজিজুল হক (৫০), হাসেন আলী (৫০), সেবীকা খাতুন (৩২)। জানা যায়, উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের ঝাঁজর গ্রামের বাগু প্রামানিকের ছেলে কান্টু প্রামানিকের জমি থেকে কে বা কারা মাটি তুলে নিয়ে যায়। পরে কান্টুর ছেলে বাবুল জমি থেকে মাটি তোলা দেখে আবদুল লতিফের স্ত্রী জোৎস্না খাতুনের কাছে মাটি তোলার কথা জানতে চাইলে তখন সে বলে আমি কিছু জানিনা। এ নিয়ে দুজনের মাঝে বাকবিতন্ডা হয়। তখন কান্টুর ছেলে তার শ^শুর বাড়ির লোকজনদের সাথে নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর ও বেধরক মারপিট করে। এতে মহিলাসহ ৭ জনকে আহত করে যাওয়ার সময় তারা প্রাননাশের হুমকি দিয়ে যায়। এমনকি তাদের ভয়ে কেউ চিকিৎসার জন্য কেউ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে পারছেনা। এ বিষয়ে আহত ফরিদ, আবদুল লতিফ জানান, ঝাঁজর গ্রামের রাজু, স¤্রাট, কান্টু, বাবুল, শাহাবুল, তফিজার ও রানার নেতৃত্বে ১৫-২০ জন দলবদ্ধ হয়ে এসে সন্ত্রাসী কায়দায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। আমরা ভয়ে ঘরের মধ্যে পালালে তারা দরজা ও বেড়া ভেঙ্গে ঘরে মধ্যে প্রবেশ করে মারপিট করে। আমাদের আত্মচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে আমাদের উদ্ধারের চেষ্টা করলে তাদেরকেও মারধর করে। আমরা থানায় আসতে চাইলে আবারও মারপিটের হুমকি দিয়ে আমাদের জিম্মি করে রাখে। এ ব্যাপারে খামারকান্দি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবদুল মমিন মহসিন নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, আমাকে এখনও কোন পক্ষই এ বিষয়ে জানায়নি। শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম রেজা জানান, মারপিটের ঘটনায় এখনো কোন অভিযোগ পাইনি পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।