ময়মনসিংহের ভালুকায় বন্ধন নামে পলিথিন গলিয়ে ডিজেল ও পেট্রোল তৈরীর কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ঘটনাস্থলেই বিল্লাল হোসেন (৪৫) নামে কারখানার এক মালিকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে সাইদুল ইসলাম নামে অপর এক মালিক ও শ্রমিক লতিফ (২৫) গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (৩ জানুয়ারী) বেলা ১১ টায় উপজেলার ভায়াবহ গ্রামে। ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভায়াবহ গ্রামের সাহেদ আলীর ছেলে বিল্লাল হোসেন ও তার পাঁচ বন্ধু মোস্তফা কামাল, রাম প্রসাদ, আশরাফুল আলম, রফিকুল ইসলাম ও সাইদুল ইসলাম প্রায় তিন বছর আগে ৮ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে দু’টি বয়লার এবং একাধিক সিলিন্ডার বসিয়ে ছোট আকারে গড়ে তুলেন বন্ধন নামে তেল ও পেট্রোল উৎপাদন প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন ওই কারখানায় ৩০০ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য গলিয়ে ১৪০ লিটার ডিজেল ও ১০ লিটার পেট্রোল উৎপাদন করা হতো। বুধবার (৩ জানুয়ারী) বেলা ১১ টায় কারখানাটিতে বিকট শব্দ হয়ে আগুণ ধরে যায়। এ সময় কারখানার প্রধান উদ্যোক্তা বিল্লাল হোসেন অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং অপর মালিক একই গ্রামের ফজর আলীর ছেলে সাইদুল ইসলাম (৩৫) ও শ্রমিক লতিফ অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হন। খোঁজ পেয়ে স্থানীয়রা অগ্নিদগ্ধ সাইদুলকে আশঙ্কজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ভালুকা সরকারী হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সাইদুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা শেখ হাসিনা প্লাষ্টিক ও বার্ণ ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন ধরে খোলা আকাশের নিচে ওই কারখানটি পরিচালিত হয়ে আসছিলো। ভালুকা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আতিকুর রহমান জানান, কারখানায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং অপর একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে অগ্নিকান্ডের বিষয়টি জানা যাবে। ভালূকা মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, কারখানায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ওই ঘটনায় তদন্ত চলছে।