অবশেষে নির্বাচনের চারদিন বাকী থাকতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৬ আসনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের মাইকে প্রচারের শোনা গেছে। তবে কোথাও কোনো পোষ্টার চোখে পড়েনি, ছিলোনা কোনো গণসংযোগ। (কয়রা-পাইকগাছা) উপজেলা নিয়ে নির্বাচনী সংসদীয় আসন ১০৪, খুলনা-৬। এ আসনে নির্বাচনে ৭ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছেন। জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু বাদে অন্য ৬ জন প্রার্থী পোষ্টার সাটানো, লিফলেট বিতরণ, গণসংযোগসহ মাইকে প্রচার শুরু করেছে ১৮ ডিসেম্বর থেকে। অথচ জাতীয় পার্টির প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু নির্বাচনী এলাকায় এসেছেন কিনা কেউ বলতে পারেনা। নির্বাচনী এলাকায় জনপ্রিয় ব্যক্তি এলাকার সন্তান জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীরকে মনোনয়ন না দেওয়ায় বহিরাগত শফিকুল ইসলাম মধুকে মনোনয়ন দেওয়ায় অত্র এলাকার নেতা কর্মীরা হতাশ ও ক্ষুব্দ। নেতা কর্মীদের তোপের মুখে পড়ার ভয়ে এতদিন শফিকুল ইসলাম মধু এলাকায় আসেননি বলে অনেকেই ধারনা করছেন। লাঙ্গল এর দূর্গ বলে পরিচিত (কয়রা-পাইকগাছায়) এবার লাঙ্গল এর ভরা ডুবি হবে বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। দুই উপজেলা ও একটি পৌরসভা মিলে হাজারও ভোট পাবেন কিনা অনেক নেতাকর্মী ধারনা করছেন। নির্বাচনের মাত্র ৪দিন বাকি থাকতে শফিকুল ইসলাম মধুর খুলনা থেকে হঠাৎ করে (কয়রা-পাইকগাছায়) আগমন ও মাইকে প্রচার অন্য রহস্যের গন্ধ ছড়াচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন তিনি নির্বাচনের পূর্বে একটি নাটক মঞ্চস্থ করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন। এ ব্যাপারে জাতীয় পার্টীর কেন্দ্রীয় সদস্য কয়রার জাপানেতা ও কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোস্তফা শফিকুল ইসলাম ঢালী বলেন, নির্বাচনের আর মাত্র ৪ দিন বাকি লাঙ্গল এর প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু নির্বাচনী এলাকায় আসছেন শুনেছি এতদিন পর্যন্ত তার কোনো হদিস না থাকায় নেতা কর্মীরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ। তার সাথে তৃনমূল পর্যায়ের কোনো নেতা/কর্মী নেই। তার এই ব্যর্থতার কারণে এবারের নির্বাচনে লাঙ্গলের ভরাডুবি হবে বলে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা মনে করছেন। নেতা কর্মীরা (কয়রা-পাইকগাছায়) জাতীয় পার্টির এই দূরাবস্থার জন্য (বহিরাগত) জেলার সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধুকেই দায়ী করেন। খুলনা ৬ জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু বলেন, এখন থেকে প্রচারে আসছি সমস্য কি। আমি এবারসহ আগে তিন বার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচন করছি। এলাকার মানুষ আমাকে চেনে ও জানে।