সন্ত্রাস দমন ও বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণ মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে নীলফামারীর সৈয়দপুর জেলা বিএনপির ১০ নেতা আটক হয়েছেন। বুধবার ৩ জানুয়ারি নীলফামারীর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। আটক নেতারা হলেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস এম ওবায়দুর রহমান, সদস্য প্রভাষক শওকত হায়াত শাহ, কোষাধ্যক্ষ ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর আবিদ হোসেন লাড্ডান, সৈয়দপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ বাবলু, যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন হাবলু, জাহিদ হাসান, শাহীন আকতার, দেলোয়ার হোসেন, মাহবুব আলম, লাড্ডান ওরফে ইমরান প্রমুখ। উল্লেখ্য গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকার মহাসমাবেশ পন্ত হওয়ার ঘটনায় ঘোষিত হরতালের প্রথমদিন কর্মসূচি চলাকালে আওয়ামী লীগের হরতাল বিরোধী মিছিল শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কে জেলা বিএনপির অফিসের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় বিশৃঙ্খলা হয়। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিএনপি অফিস থেকে লাঠিসোটা উদ্ধার করে এবং সন্ত্রাস দমন ও বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে। ওই মামলায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০০/৬০০ জনকে আসামি করা হয়। এরপর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর এরশাদ হোসেন পাপ্পু এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর তারিক আজিজ ও যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রেজওয়ান আকতার পাপ্পুকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য আসামিরা হাইকোর্টের অন্তবর্তীকালীন জামিন নেয়। আগামীকাল ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এর মেয়াদ ছিল। সে কারণে বুধবার নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে আবার জামিন প্রাপ্তির আবেদন করে ওই ১০ নেতা। নীলফামারী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহমুদুল করিম তাদের আবেদন নাকচ করে জামিন না করে গ্রেপ্তারের নির্দেশ প্রদান করেন।