বাগেরহাটের শরণখোলায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবককে (৩০) অজ্ঞাত একটি ট্রাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে গেছে। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবককে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজার ফেরিঘাট সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। অপরদিকে একই উপজেলার মাতৃভাষা ডিগ্রী কলেজের অফিস সহকারী রেজাউল ইসলাম (৫৮) সড়ক দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সকালে কলেজ থেকে অদূরে ধানসাগর ইউনিয়নের পল্লীমঙ্গল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় ওই যুবক সড়কসংলগ্ন শহীদদের কবরস্থানের পাশে ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় শহীদ মিনার হ্যান্ডলিং ঘাটে মাল খালাস করে একটি ট্রাক ঘুরিয়ে যাওয়া সময় তাকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে গেছে। শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. কেয়া মনি জানান, যুবকের মাথা থেঁতলে গেছে। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। মাতৃভাষা কলেজের সরকারি অধ্যাপক অলিউর রহমান জানায়, উপজেলার পল্লীমঙ্গল এলাকার মাতৃভাষা ডিগ্রী কলেজের অফিস সহকারী ও পার্শ্ববর্তী উপজেলা মোড়লগঞ্জের বড় বাড়ি এলাকার বাসিন্দা মোঃ নরুদ্দিন ফরাজির পুত্র মোঃ প্রতিদিনের ন্যায় অফিসে আসেন। পরে চা খাওয়ার জন্য কলেজ সংলগ্ন পল্লীমঙ্গল বাজারে যায়। চা খাওয়ার সময় শরণখোলা থেকে মোড়েলগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া দ্রুতগামী একটি বাস তাকে ধাক্কা দিয়ে গাড়ির চাকার পৃষ্ঠ হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে। পরে লোকজন চিৎকার করে তাড়া দিলে ড্রাইভার গাড়ি থামিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মোড়েলগঞ্জ থানায় একটি অপমূর্ত মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে। শরণখোলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুব্রত কুমার জানান, হাসপাতাল থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের ময়না তদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। ঘাতক ট্রাকটি সনাক্তের চেষ্টা চলছে।