১৪২ আসনের জামালপুর-৫ সদর আসনে নৌকা প্রতীকের কর্মী সমর্থক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাত ১০ টার দিকে উপজেলার রানাগাছা ইউনিয়নের মহেশপুর কালীবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে নৌকা প্রার্থীর কর্মীদের তিনটি মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়েছেন। তবে পুড়ে যাওয়া মোটরসাইকেল তিনটি ঈগল সর্মথকের বলে দাবি করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনু। এ ঘটনায় ওই এলাকায় দু-পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রানাগাছা ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের কর্মী সমর্থকরা নির্বাচনী প্রচারণা শেষে মহেশপুর কালিবাড়ীতে নৌকা প্রতীকের প্রচার কেন্দ্রে যায় ১০ থেকে ১২ জন। পরে তারা সেখানে নৌকার স্লোগান দিয়ে নৌকায় ভোট প্রার্থনা করছিলেন। এ সময় ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনুর কর্মী সমর্থকরাও স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে দু-পক্ষের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় নৌকা প্রতীকের কর্মী মাসুদ রানা শ্যামল, নজরুল ও সিফাতের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর জের ধরে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা ঈগল প্রতীকের স্থানীয় একটি প্রচার কেন্দ্রে হামলা ও ভাংচুর করেছে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় দু-পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। খবর পেয়ে সদর থানার ওসি ও বিজিবি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচনি প্রচারণার জেলা সমন্বয়কারী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, 'স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক লুৎফুর কবীর বাবুর নেতৃত্বে আমাদের নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। হামলায় আমাদের পাঁচজন কর্মী গুরুতর আহত হয়েছে। আহতরা সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিষয়টি সদর থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।' এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনু তিন মোটরসাইকেল তার কর্মী সমর্থকদের দাবি করে বলেন, সুস্থ নির্বাচনের পরিবেশকে তারা (নৌকা প্রার্থী) নষ্ট করছে। মহেশপুর কালি বাড়ীতে আমার নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুর করে আমার কর্মী সমর্থকদের বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে নৌকা প্রার্থীর লোকজন। জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, মহেশপুর কালিবাড়ীতে তিনটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও একটি নির্বাচনি প্রচারকেন্দ্র ভাংচুরের ঘটনা শুনে পরিদর্শন করেছি। মোটরসাইকেল তিনটি কার আমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।