রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন নৌকার কোন বিকল্প নেই,১৫ বছরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ইউসুফ আলী সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী জনসভায় এই কথা বলেন। তিনি বলেন আজকের এই বিশাল জনসমুদ্র। এটি দেখে আমার মনে হয়েছে ৭ তারিখ জিয়া ভাই জিতে যাবে ইনশাল্লাহ। ইনশাল্লাহ জিতে আছেন। নির্বাচন আসলেই যারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানাভাবে অপচেষ্টা ও অপতৎপরতা লিপ্ত হয়। তাঁদের কাউকে এনে দেখানো যেত, তারেক জিয়া যদি ভিডিওতে এই জনসভা দেখানো যেত। তোমার ওই না না বলা কেউ শুনবে না। এখান থেকে ২৮ হাজার মাইল দূরে জিয়াউর রহমানের সন্তান, কুলাঙ্গার রাজনীতি করছেন। যেখান থেকে ১৪ সালে কলকাঠি নেড়ে আগুন সন্ত্রাস করেছে। ওই সময় কত শত মানুষ মারা গেছে,কতশত মানুষ পুরে কষ্টরিত হয়ে জীবন যাপন করছে। তাঁদের কষ্ট না দেখলে বুঝতে পারবেন না কষ্ট কাকে বলে, দুঃখ কাকে বলে যন্ত্রনা কাকে বলে। মরে যাওয়া অনেক ভাল পুড়ে যাওয়া মানুষ বেঁচে থাকা কত যন্ত্রনা কষ্টের। সেই কষ্টের নায়ক তারেক জিয়া। লন্ডনে বসে ১৮ সালে আরেকটি খেলা খেলেছেন। নির্বাচনে এলেন তাঁদের দলের তিনজন প্রার্থীর কথা বলেন। ৩০০ আসনে ৯০০ জন প্রার্থীর কাছ থেকে ১০ কোটি টাকা করে বানিজ্য করেছেন। প্রতিবার তিনি ওইখান থেকে কলকাঠি নাড়ে। তিনি মনে করে তাঁর কথায় বাংলাদেশের মানুষ চলবে। আজ থেকে কয়েকদিন আগে আমি একটি ভিডিও দেখছিলাম তারেক জিয়া লাইভ ভিডিও ফুটেজ চলে আসল। তার কথা শুনে হাসব না কাদব বুঝতে পারছিলাম না। তিনি বলেন, যে বঙ্গবন্ধু অসহযোগ আন্দোলন ডাক দিয়েছিলেন, ২৪টা বছর আন্দোলনের পর, মানুষকে সংগঠিত করার পর, কৃষক, শ্রমিক, জনতা সংগঠিত করার পর তিনি তাঁদের হৃদয়ে ঢুকে গিয়ে বলেছিলেন মানুষ জীবন দেবার জন্য তৈরি হয়েছিল। এই তারেক জিয়া লন্ডন থেকে বলছেন কর দিবেন না, ট্যাক্স দিবেন না, অফিস আদালতে যাবেন না। তারেক জিয়ার এই কথাগুলো কেউ কি শুনে। শুনার কি লোক আছে কয়েকটা চামচা ছাড়া। বাংলাদেশকে নিযে যারা ষড়যন্ত্র ডারপালা বুনে, প্রত্যেকটা নির্বাচন আসলে তাঁদেরকে উচিত শিক্ষা দিতে হবে নির্বাচনের মাধ্যমে। শেখ হাসিনা প্রমান করেছেন। একে বাধা দেয়, ওকে ভয় দেখাই, ভোট দিতে কেউ আসবেনা প্রধানমন্ত্রীর বুদ্ধির কাছে মার খেয়ে গেছে। নৌকার কোন বিকল্প নেই। গত ১৫ বছরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী বিষয়ে তিনি বলেন নৌকা পেলে আওয়ামী লীগ না পেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী এটা ঠিক না। তিনি এই এলাকার উন্নয়নে পাশে থাকবেন বলে বক্তব্য উল্লেখ করেন। আগামী ৭ই জানুয়ারি নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার আহবান জানান। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকার মনোনীত প্রার্থী জিয়াউর রহমানকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনী জনসভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও গোমস্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন রেজা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ ০২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউর রহমান, ভোলাহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাব্বুল হোসেন, নাচোল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল কাদের,রহনপুর পৌরসভার মেয়র মতিউর রহমান খান, নাচোল পৌরসভার মেয়র আবদুর রশিদ খান ঝালু, গোমস্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান জামালউদ্দিন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সহ সম্পাদক কামরুল হাসান লিংকন, মহিলালীগ নেত্রী সাবিহা শবনম কেয়াসহ অন্যরা।