ভোলার লালমোহন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আক্তারুজ্জামান মিলন এর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০২২/২০২৩ অর্থ বছরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উপকরনের টাকা থেকে তাকে মোটা অংকের ঘুষ নেওয়ায় অভিযোগ করেন একাধিক শিক্ষক।
আর তাকে এই কাজে সহযোগিতা করেন তার অফিস সহকারী রিয়াজ উদ্দিন। প্রাথমিক বিদ্যালয় সংস্কার কাজের (শ্লিপ) অর্থ উত্তোলনে ২১০ টা বিদ্যালয় থেকে ৬হাজার টাকা করে ঘুষ আদায় তিনি, এছাড়াও রুটিন মেনটেনেন্স ১০৯ টা বিদ্যালয় থেকে ১০ হাজার টাকা করে ঘুষ নেন, প্রাক প্রাথমিক কাজের বাবদ ২১০ টা বিদ্যালয় থেকে ২ হাজার করে টাকা ঘুষ আদায় করেন তিনি
এবং বর্তমানে ক্ষুদ্র মেরামতের ৩২টি বিদ্যালয় থেকে প্রায় এক লক্ষ টাকা করে নেওয়ার পায়তারার চেষ্টা চলছে।
এছাড়াও শিক্ষকদের লোন পরমে স্বাক্ষর করতে ১হাজার টাক করে, এবং আইসিটি ট্রেনিং এর নাম দেওয়ার জন্য ১হাজার টাকা করে আদায় করেন তিনি।
আইনের আওতার বাহিরে শিক্ষকদের ছুটি দিয়েও তাদের থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করেন এই শিক্ষা অফিসার ও তার সহকারী।
একাধিক সূত্রে জানা যায় এর আগের কর্মস্থলেও তাকে দুর্নীতির অভিযোগে এনে সেখান থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
লালমোহনে এসে তিনি দুর্নীতিতে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেন,তারএসকল দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে একাধিক শিক্ষকরা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে এবং দুর্নীতি দমন কমিশন কার্যালয় গত ১০/৩/২০২২ইং প্রায় ২কোটি টাকা অর্থ আত্মসাৎ অভিযোগের তদন্ত জন্য আবেদন করেন। সেই প্রেক্ষিত তার বিরুদ্ধে তদন্ত হলেও তিনি বহাল তবিয়তে।
এছাড়াও কালমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন হাওলাদার গত ২০/৭/২০২২ইং তারিখে তার বিরুদ্ধে প্রায় ১কোটি২১লক্ষ টাকা অর্থ আত্মসাধের অভিযোগ করেন যার কারণে বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে গত০৭/৯/২০২২ইং তারিখে ভোলা জেলাপ্রশাসক বরাবর তার দুর্নীতির তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়
শিক্ষকরা জানান, আমাদের এখানে অনেক শিক্ষা অফিসার এসেছে তবে আখতারুজ্জামান মিলন স্যারের মতন এরকম কোন লোক আমরা পাইনি, তিনি আমাদের কাছ থেকে সব সময় বিভিন্ন ভাবে টাকা আদায় করে নেয়।
তার বিরুদ্ধে কয়েক বার তদন্ত করা হলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেই তিনি এখন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আক্তারুজ্জামান মিলন বলেন, আমার বিরুদ্ধে শিক্ষকরা যেসব অভিযোগ করেছেন তার সবগুলোই মিথ্যা। আমি কোন প্রকার অনিয়ম-দুর্নীতির সাথে জড়িত নই। এর আগেও আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছিলো কিন্তু তদন্ত করে কোন প্রমান পাইনি।