নীলফামারীর সংসদীয় চারটি আসনে আগামী কাল ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ। কার গলায় পড়বে বিজয়ের মালা এ নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মাঝে চলছে কানাঘুষা।
নীলফামারী - ১ আসন ঃ ডোমার ও ডিমলা উপজেলা নিয়ে এ আসটি গঠিত। এ আসনে ভোটের মাঠে লড়ছেন ৭ জন প্রার্থী। তবে বর্তমান সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার নৌকা প্রতীক আবারো বিজয় লাভ করবেন এমন কথা বলছেন ভোটাররা। কারণ এ আসনে নৌকার বিপরীতে শক্তিশালী কোন প্রার্থী নেই। জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কর্মকা- অত্যন্ত দুর্বল। তাই ভোটের মাঠে তারা অনেকটা পিছিয়ে। অন্যান্য প্রার্থীরা শুধু নির্বাচনী মাঠে প্রচারাভিযানে ব্যস্ত।
নীলফামারী - ২ সদর আসন ঃ এ আসনেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। এখানে বর্তমান সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। তার বিপরীতে শক্ত কোন প্রার্থী নেই। এ আসনেও জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কর্মকা- দুর্বল। এ আসনেও নৌকার বিজয় অনেকটা নিশ্চিত বলে জানালেন সাধারণ ভোটাররা।
নীলফামারী - ৩, জলঢাকা আসন ঃ
এ আসনে বর্তমান সাংসদ রানা মোহাম্মদ সোহেল। এখানে জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কর্মকা- অনেকটা শক্তিশালী। নৌকার প্রার্থী এখানে দলীয় সিদ্ধান্তে প্রত্যাহার করেন। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী এখানে বেশ কয়েকজন। এ আসনে লাঙ্গলের প্রার্থী হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মুখে পড়বে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে। তবে শেষমেষ লাঙ্গলের জয় হবে এমন মন্তব্য ভোটারদের।
নীলফামারী - ৪ সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ আসন ঃ
এ আসনে নৌকা প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেয়। লাঙ্গলের প্রার্থী আহসান আদেলুর রহমান আদেল। এখানে জাতীয় পার্টির অবস্থান শক্তিশালী। সৈয়দপুরে নড়বড় হলেও কিশোরগঞ্জে শক্ত অবস্থান। এ আসনে ৭ জন লড়ছেন। এখানেও লাঙ্গলের জয় হবে এমন মন্তব্য সাধারণ ভোটারদের। তবে এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক মার্কা নিয়ে লড়ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিন। তার অবস্থান অত্যন্ত ভাল। তাই লাঙ্গল ও ট্রাকের মধ্যে এ আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে জানালেন সাধারণ ভোটাররা।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্ণিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইসমাইল জানান,ইতিমধ্যে নির্বাচনী সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
নীলফামারী জেলা প্রশাসক ও রিটার্ণিং কর্মকর্তা পঙ্কজ ঘোষ জানান, নির্বাচনে কোন ধরনের সহিংসতা মেনে নেয়া হবে না। অনিয়ম করলে সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।