রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে নৌকার প্রচারে ৩৪ প্রিসাইডিং কর্মকর্তার নামে অভিযোগ উঠেছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী রাহেনুল হক রায়হান বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক ও রিটানিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এরমধ্যে বাঘা উপজেলার ১৮ জন ও চারঘাট উপজেলায় ১৬ জনের নামে এ অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা হলেন-রাওথা কলেজের অধ্যক্ষ নাদের হোসেন, সারদা মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক রেজা হাসান, একই কলেজের প্রভাষক আতিকুল ইসলাম, চারঘাট মহিলা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক এখলাক হোসেন লাভলু, নন্দনগাছি ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ওয়াহেদুল ইসলাম, চারঘাট এমএ হাদি কলেজের সহকারি অধ্যাপক মিজানুর রহমান, ইউসুফপুর মহাবিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক কাজী হিরন আলী, শলুয়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ রুহুল আমিন, চারঘাট মহিলা ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম, সরদহ সরকারি মহাবিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক সাইদুর রহমান, রাওথা কলেজের প্রভাষক রেজাউল হক মোল্লা, চারঘাট মহিলা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক শরিফুল ইসলাম, চারঘাট মহিলা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ, নন্দগাছি ডিগ্রী কলেজের সহকারি অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, সরদহ মহাবিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক একরামুল হক, ডাকরা ডিগ্রী কলেজের সহকারি অধ্যাপক আলতাব হোসেন, মীরগঞ্জ কলেজের প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ, শাহদৌলা সরকারি ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক আহমেদ বেল্লাল, আবদুল গনি কলেজের প্রভাষক মহিউল হাসান, আড়ানী ফুলমননেছা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম, আবদুল গনি কলেজের সহকারি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম, দিঘা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের সিনিয়র প্রভাষক নুরোল ইসলাম, আড়ানী ডিগ্রী কলেজের সহকারি অধ্যাপক লিটন উদ্দিন, আবদুল গনি কলেজের প্রভাষক নুরুজ্জামান, বাঘা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী দেওয়ান, মোজাহার হোসেন মহিলা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক জামাল উদ্দিন, শাহদৌলা সরকারি ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক শরিফুল ইসলাম, শাহদৌলা সরকারি ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক রেজাউল করিম, মোহজার হোসেন ডিগ্রী কলেজের সহকারি অধ্যাপক সিদ্দিক আলী, শাহদৌলা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক লিলন আলী, সরেরহাট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, দিঘা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের প্রভাষক বাবর আলী, অমরপুর ধন্দহ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম, কেশবপুর উচ্চ ও কলেজের প্রভাষক জাহাঙ্গীন আলম।
এ বিষয়ে মীরগঞ্জ কলেজের প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের সমর্থক। আগে নৌকার পক্ষে প্রচার-প্রচারণা অংশ নিয়েছি। তবে বুঝতে পেরে আর অংশগ্রহণে যায়নি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী রাহেনুল হক রায়হানের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মেরাজুল ইসলাম বলেন, প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা সরাসরি নৌকার প্রার্থীর প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় তাদের নামে অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটানিং কর্মকর্তা শামীম আহমেদ বলেন, প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী কোন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কোন প্রার্থীর পক্ষে অংশগ্রহণ করে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কাউকে নিয়ে কোনো এলাকায় আপত্তি থাকলে তাকে ওই এলাকায় দায়িত্ব দেওয়া হবে না।