বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদার আসন হিসেবে বিবেচিত বরিশাল-৫ (সদর) আসন। এ আসনের নৌকা মার্কার প্রার্থী প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম এমপি। গত ২৯ ডিসেম্বর নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানের নির্বাচনী জনসভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভাষনে বিগত পাঁচবছর প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনে জাহিদ ফারুক শামীমের ভূয়শী প্রশংসা করেছেন।
একইসাথে আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে পূর্ণরায় জাহিদ ফারুক শামীমকে নৌকা মার্কায় বিজয়ী করার জন্য দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের অনুরোধ করেছেন। এ ভাষনের সময় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের যেসব নেতৃবৃন্দরা প্রধানমন্ত্রীর জনসভার মঞ্চে ও সামনের সাড়িতে উপস্থিত ছিলেন, তারাই বঙ্গবন্ধু কন্যার নির্দেশ অমান্য করে এবার প্রকাশ্যে নৌকা ডুবাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই আসনের ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাহউদ্দিন রিপনকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়ে ভোটের মাঠে নেমেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য সাবেক সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারীরা। ফলে সহজেই জয় পাঁচ্ছেন না নৌকা মার্কার প্রার্থী পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম এমপি। সূত্রমতে, গত ৪ জানুয়ারি বিকেলে ব্রজমোহন বিদ্যালয় মাঠে ট্রাক মার্কার সমর্থনে অনুষ্ঠিত উঠান বৈঠকে সাদিকপন্থীরা রিপনকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছেন।
সমাবেশে সাদিক আব্দুল্লাহর বার্তা পৌঁছে দিয়ে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহম্মেদ বীর বিক্রম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর সন্তান সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে আমরা ট্রাক মার্কার জনসভায় এসেছি। আমি আহবান রাখছি আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ট্রাক মার্কায় সালাউদ্দিন রিপনকে বরিশাল মহানগর, সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাসহ সাধারণ মানুষ ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে বরিশালের উন্নয়ন তরান্বিত করবে। এ সময় বক্তারা বরিশাল-৫ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার মার্কার প্রার্থীর কঠোর সমালোচনাও করেছেন।
ট্রাক মার্কার শেষ উঠান বৈঠকে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দ্বৈত নাগরিকত্বের কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বাদ পরা সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর ঘনিষ্ঠ অনুসারী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গাজী নঈমুল হোসেন লিটু, অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, আওয়ামী লীগ নেতা আরিফিন মোল্লা, মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুল, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী নিগার সুলতানা হনুফা, মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি পরিমল চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক রইজ আহম্মেদ মান্না, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব খান, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাইনুল ইসলামসহ মহানগর আওয়ামী লীগের ৩০ ওয়ার্ড ও সদর উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।