রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ৪১ নম্বর ভোট কেন্দ্র মতিহার উচ্চবিদ্যালয়ের একটি কক্ষে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার পর বিদ্যালয়ের জানালা দিয়ে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত ভোট কেন্দ্রের এটি। আগুন দেয়ার ঘটনায় কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। তবে কে বা কারা কক্ষটিতে আগুন দেয় তার হুদিস মেলেনি। আগুন দেয়ার ঘটনায় পাল্টা পাল্টি মন্তব্য করেন জাহানাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান হযরত আলী এবং জাহানাবাদ ইউনিয়ন নৌকা মার্কার নির্বাচনী সমন্বয়কারি সাইদুর রহমান।
এবিষয়ে মতিহার উচ্চবিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মী বাবর আলী বলেন, আমরা শীতের রাত হলেও মতিহার স্কুল মোড়ে রাত্রী ১১ থেকে ১২ পর্যন্ত অবস্থান করি, এর মধ্যে এ আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেনি। যেহেতু এর আগে গত ২৬ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৩ টার দিকে জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়্যারম্যান হযরত আলীর বাড়ির সামনে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। তাই আমার ধারণা এখানেও ৩ টার পরেই হয়তো কেউ আগুন লাগিয়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী বলেন, গভীর রাতের ঘটনার জন্য আমরা এখনো জানতে পারিনি কে এখানে এভাবে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। তবে বিদ্যালয়ের জানালা দিয়ে এ আগুন লাগিয়ে তারা হয়তো চলে গেছে, এজন্য বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। তবে তিনি প্রতিবেদককে জানান, কোন একটি পক্ষ তাকে চাপে রাখতে হয়তো এধরণের ঘটানা ঘটাতে পারে।
জাহানাবাদ ইউনিয়ন নৌকা মার্কার নির্বাচনী সমন্বয়কারি সাইদুর রহমান বলেন, বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট একটি পক্ষ ভোটারদের আতঙ্কে রাখতে এধরণের ঘটনা ঘটাতে পারে। তবে তিনি কারো নাম উল্লেখ করেননি।
এবিষয়ে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়শা সিদ্দিকা বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে দেখি বিদ্যালয়ের সেই কক্ষের জানালাটির পাল্লা ঠিক নাই, খোলা ছিলো। তাই দুর্বৃত্তরা কেরসিন তেলের বোতল ভিতরে দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে চলে যায়। এতে মতিহার উচ্চবিদ্যালয়ের দুইটি বেঞ্চ ও একটি চেয়ার পুড়ে যায়। বিদ্যালয়ে নাইট গার্ড ছিলো, তবে শীতের রাতের জন্য তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। চেয়ারম্যান ও নিরাপত্তা কর্মীদের বলা হয়েছে, আজ থেকে সকল ভোট কেন্দ্রে নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে।