দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-২ আসনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী কামারুল আরেফিনের ট্রাক মার্কার গনজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে ভেড়ামারা উপজেলায়। এখন শুধু বিজয়ের অপেক্ষা। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মনে করেন, ভেড়ামারার রাজনৈতিক নেতা আলহাজ্ব শামিমুল ইসলাম ছানা এবং আবু হেনা মোস্তফা কামাল মুকুলের দৃঢ় নেতৃত্বে বিভক্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীই এখন এক প্লাটফরমে। সবাই আন্তরিকতার সাথে ট্রাক মার্কার পক্ষে কাজ করছে। আগামী ৭ জানুয়ারী ট্রাক মার্কার বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার মধ্যে দিয়ে ১৫ বছরের জুলুম নির্যাতন, হত্যার অবসান হবে।
আলহাজ্ব শামিমুল ইসলাম ছানা পরপর ২ বার ভেড়ামারা পৌরসভার সফল মেয়র হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ভেড়ামারা পৌরসভা সহ উপজেলা ব্যাপীই তার রয়েছে ব্যাপক গ্রহনযোগ্যতা। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সাধারন সম্পাদক এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফের একান্ত আস্থাভাজন। নেতাকর্মীদের শেষ ভরসা হিসেবে তাকেই বিবেচনা করা হয়। অন্য দিকে, ভেড়ামারা আওয়ামী লীগের মেধাবী এক রাজনৈতিক আবু হেনা মোস্তফা কামাল মুকুল। তিনি ভেড়ামারা পৌর আওয়ামী লীগের সম্মানিত সভাপতি এবং কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের ২য় মেয়াদে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। ভেড়ামারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আস্থার জায়গায় রয়েছেন সফল এই রাজনৈতিক।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঢামাঢোল বেজে উঠলে স্থানীয় নেতাকর্মীদের প্রধান চাওয়া হয়ে উঠে জাসদের প্রার্থী নয়, তারা চান আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী। যিনি হবেন আওয়ামী লীগের রক্ষা কবচ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি অবাধ, সুষ্টু, নিরপেক্ষ এবং উৎসবমুখর নির্বাচন উপহার দিতে যে কাউকে প্রার্থী হওয়ার আহবান জানান। এ সময় মিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক কামারুল আরেফিন কে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে ঘোষনা দেওয়া হয়। এরপর থেকেই শুরু হয় ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামীলীগকে সংগঠিত করা এবং উপজেলার তৃনমূল পর্যন্ত সংগঠন কে চাঙ্গা করে ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে ট্রাক মার্কার পক্ষে গনজোয়ার সৃষ্টি করার কাজ।
ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব রফিকুল আলম চুনু’র নির্দেশে দল গোছানোর কাজ শুরু করেন আলহাজ্ব শামিমুল ইসলাম ছানা এবং আবু হেনা মোস্তফা কামাল মুকুল। দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে দল কে সংগঠিত করে নেতাকর্মীদের ট্রাক’র পক্ষে মাঠে নামিয়েছেন। বিভক্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা এবং তার অনুসারীরাও এখন এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখছেন। ধরমপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান শামসুল আলম, সাবেক চেয়ারম্যান শাহাবুল আলম লালু, আবদুল আজীজ এখন একই মঞ্চে। জুনিয়াদহ ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান হাসান, সাবেক চেয়ারম্যান সাহেদ আহমেদ শওকত, বাহাদুরপুর ইউনিয়নে সোহেল রানা পবন, হাসান সরোয়ার, মোকারিমপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুস সামাদ, বাহিরচর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী সহ জাসদ নেতা জগলুও ট্রাকের পক্ষে একাট্রা হয়ে মাঠে নেমেছেন। চাঁদগ্রাম ইউনিয়নে বুলবুল কবীর, সাবেক চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দীন সোনা সহ বিভক্ত আওয়ামী লীগ এখন মাঠে সরব। ভেড়ামারা পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড’র মধ্যে ৮টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরই এখন ট্রাক মার্কার পক্ষে একাট্রা হয়ে ট্রাক’র বিজয় নিশ্চিত করতে মরিয়া।
ভেড়ামারা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফিরোজ আলী মৃধা জানিয়েছেন, ভেড়ামারা উপজেলায় ট্রাক মার্কার পক্ষে ব্যাপক গনজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এখন অপেক্ষা শুধু বিজয়ের। তিনি বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল আলম চুনু’র নির্দেশে আলহাজ্ব শামিমুল ইসলাম ছানা, আবু হেনা মোস্তফা কামাল মুকুলের দূঢ় নেতৃত্বে ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগ একাট্রা হয়ে ট্রাক’র পক্ষে কাজ করছে। যোগ্য প্রার্থী কামারুল আরেফিনের পক্ষে কাজ করছে। বর্তমানে গনজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে ট্রাক মার্কার। প্রতিটা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রচুর কর্মী সমর্থক, মহিলা কর্মী সমর্থক এখন মাঠে রয়েছে। পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে সক্রিয় এখন আওয়ামী লীগের প্রতিটা কর্মী সমর্থক।