রাজশাহীর পুঠিয়ায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাদকদ্রব্য কেনাবেচা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছু স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা তাদের পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য এবং ভোটের মাঠে কর্মীদের ধরে রাখার দায়ে নেশাগ্রস্তদের ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর ভেতর বেশিরভাগ মাদক সেবনকারীরা উঠতি বয়সী কিশোর এবং বেকার যুবকরা বলে এলাকার স্থানীয়রা বলছেন। আগামীকাল রোববার দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে ভোটের মাঠে প্রতিটা ভোট কেন্দ্রে ইতোমধ্যে পোষ্টারে পোষ্টারে ছেয়ে গিয়েছে। নির্বাচনীয় এলাকায় প্রকাশ্যে প্রচার বন্ধ রয়েছে। কিন্তু শনিবার রাতে এবং আজ রাতে কিছু স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা তাদের পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য দলবদ্ধভাবে ভোটাদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ভোট সংগ্রহ করা হয়েছে। ভোটের মাঠে কর্মীদের ধরে রাখার জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি নেশাগ্রস্তদের মাঝে ব্যাপক মাদক দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, শনিবার রাতে কিছু উঠতি বয়সী কিশোর এবং বেকার যুবকরা মাদক সেবন করে পুঠিয়া সদর এলাকায় ভোট সংগ্রহ করা নিয়ে দুইপক্ষের মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। পুঠিয়া পৌর এলাকায় আদিবাসী পাড়ায় প্রকাশ্যে নির্বাচনের জন্য শতশত লিটার চোলাই মদ বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেওয়ায়। এই সুযোগে পুঠিয়া এবং বেলপুকুর থানা দুইটিতে মাদক কারবারিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। প্রতিটি মাদককারবারিদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খা বাহিনীর সদস্য, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতারা মাদক কারকারিদের সঙ্গে সংপৃক্তিতা রয়েছে। তাই, উপজেলা জুড়ে হাত বাড়ালেই ফেনসিডিল ইয়াবা ইরোইন গাঁজা পাওয়া যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মাদক বিক্রেতা বলছে, পুলিশ এবং মাদকদ্রব্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে চুক্তি করে তারা মাদক কারবার করে আসছে। থানা পুলিশ এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাদের সখ্যতা থাকার জন্য বাধাহীন ভাবে মাদক কারবারি চালাচ্ছে। মোতালেব নামের ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে মাদক কারবারি করে আসছে। সে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। বানেশ্বর বাজারের বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে প্রতিদিন আইনশৃঙ্খা বাহিনী এবং রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় কয়েক লাখ টাকার মাদক কেনাবেচা হয়ে থাকে বলে এলাকাবাসীরা অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে (পুঠিয়া সার্কেল) ইনেস্পক্টর সাইফুল আলম বলেন, আমাদের সঙ্গে কোনো মাদক কারবারিদের সম্পর্ক নেই। আমরা প্রতিনিয়ত মাদক কারবারিদের ধরে মামলা দিয়ে আসছি। যদি নির্বাচনের ভেতর মাদক কেনাবেচা বৃদ্ধি করে থাকেন। আমরা তাদেরর বিরুদ্ধে অতিদ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।