নানা কারণে আলোচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন। সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলার সমন্বয়ে এই আসনটি। এই আসনে সরাইলের ৯টি ও আশুগঞ্জে ৮টি মোট ১৭ টি ইউনিয়ন রয়েছে। দুই উপজেলায় মোট ১৩২ টি কেন্দ্র। প্রশাসনের তালিকায় এর মধ্যে ৪৮টি কেন্দ্রই অধিক গুরূত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ। সরাইলের ৮৪ টি কেন্দ্রের ৬০ টিতে ব্যালট যাবে নির্বাচনের দিন ভোরে। দূর্গম এলাকা হওয়ায় ২৪ টি কেন্দ্রে শনিবার বিকেলের মধ্যে পৌছে গেছে ব্যালট। এবারের নির্বাচনে এই আসনে নৌকা ও ধানের শীষ না থাকলেও টেনশনে আছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। সরজমিন অনুসন্ধান ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, আসনটির সরাইল উপজেলায় ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬০৫ জন ভোটার। এর মধ্যে পুরূষ ১ লাখ ৪২ হাজার ৩২৬ জন। আর মহিলা ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ২৪ হাজার ২৭৮ জন। অপরদিকে আশুগঞ্জে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৪৩ হাজার ৪৬৭। উভয় উপজেলায় ১৩২ টি কেন্দ্রের মধ্যে সরাইলে ৮৪টি আর আশুগঞ্জে ৪৮ টি। শনিবার সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৩টার মধ্যে মালামালসহ কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত লোকজন গন্তব্যে পৌঁছে যান। তবে সরাইলের দূর্গম এলাকার ২৪টি কেন্দ্রে ব্যালট গেলেও বাকি ৬০ টি কেন্দ্রে ব্যালট যাবে নির্বাচনের দিন ভোরে। নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন ১৩২ জন প্রিজাইডিং, ৮৮৩ জন সহকারী প্রিজাইডিং ও ১৭১৮ জন পোলিং কর্মকর্তা। আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকবেন ১৫৮৪ জন আনসার, ৩৪৮ জন পুলিশ, পুলিশের ষ্ট্রাইকিং টিম ১৩টি, ভ্রাম্যমান টিম ৭টি, ৪ প্লাটুন বিজিবি, ৪ প্লাটুন সেনা সদস্য, ৪ প্লাটুন র্যাব ও ১ প্লাটুন অতিরিক্ত রিজার্ভ সেনা সদস্য। নির্বাচনী এলাকায় মোট ৫ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সর্বক্ষণ দায়িত্ব পালন করবেন। এর মধ্যে অরূয়াইল ও চুন্টা এলাকার ৩০টি কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকবেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট লাশমি চাকমা, শাহবাজপুর শাহজাদাপুর কুট্রাপাড়া ও নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বাড়িউড়া এলাকার ২০টি কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকবেন উম্মে সালমা রূমা, পানিশ্বর ইউনিয়নের ১০ কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকবেন নাছরিন সুলতানা ও সরাইল সদর কালীকচ্ছ ও নোয়াগাঁও ইউনিয়নের অবশিষ্ট ২৪ টি কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকবেন সিনিয়র সহকারী সচিব (নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট) সারোয়ার আলম। সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা মেজবা উল আলম ভূঁইয়া ও শ্যামল চন্দ্র বসাক বলেন, আমাদের সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন। এখন পর্যন্ত কোন সমস্যা দেখছি না। তবে নির্বাচন চলাকালে যে কোন ধরণের অনিয়ম বা বিশৃঙ্খলা কঠোর হস্তে দমন করা হবে। বল প্রয়োগ বা অনিয়ম করার কোন সুযোগ নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সর্বক্ষণ ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটরা টহলে থাকবেন। যেখানে অপরাধ সেখানেই সাজা দেয়া হবে।