দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া রাজশাহীতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। চলছে ভোট গণনার কাজ। এ প্রতিবেদন রোববার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় লেখা অবস্থায় রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনে গড়ে ৪১ দশমিক ৬৮ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। এর আগে রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনেই দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ব্যতীত বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবেই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এজন্য প্রার্থী-ভোটার, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। রাজশাহী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম আহমেদ আরও বলেন, কোনো কোনো আসনে দু’একটি কেন্দ্রের ফলাফল এখনও আমরা পাইনি। সেটি বাদে এখন পর্যন্ত রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে ৪৬ শতাংশ, রাজশাহী-২ (সদর) আসনে ২০ শতাংশ, রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে ৪০ দশমিক ১৩ শতাংশ, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে ৫৩ শতাংশ, রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে ৪৬ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে ৪৪ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। উল্লেখ্য, রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনে প্রার্থী ছিলেন ৪১ জন। এর মধ্যে রাজশাহী-১ আসনে ভোটযুদ্ধে ছিলেন ১০ জন, রাজশাহী-২ (সদর) আসনে ৭ জন। আর রাজশাহী-৩ থেকে ৬ নং আসনের প্রত্যেকটিতে প্রার্থী ছিলেন ৬ জন করে। এবারের নির্বাচনে রাজশাহী জেলায় মোট ভোটার ছিল ২১ লাখ ৭৭ হাজার ৭১৪। ভোটকেন্দ্র ৭৭০টি। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১০ লাখ ৮৪ হাজার ৭৩০, নারী ভোটার ১০ লাখ ৯২ হাজার ২৯৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ছিল ১৮ জন। ভোটকক্ষ ছিল চার হাজার ৯৬৩টি। রাজশাহীর ছয়টি আসনের মধ্যে ৯টি উপজেলা, ১৪টি পৌরসভা ও ৭২টি ইউনিয়ন। এর মধ্যে রাজশাহী-২ আসনটি সিটি করপোরেশনের মধ্যে। এই সিটির মধ্যে আরএমপির অধীনে এবার চারটি সংসদীয় এলাকায় কেন্দ্র ছিল ২১৩টি। এর মধ্যে ২৪টি ছাড়া অন্য সব কেন্দ্রগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল। এসব প্রতিটি ভোটকেন্দ্রেই ১২ জন করে আনসার সদস্য দায়িত্বরত ছিল। আর সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ৩ জন ও গুরুত্বপূর্ণ ভোট কেন্দ্রে ৪ জন করে পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া পুলিশের ৪৭টি মোবাইল টিম, ২০টি স্ট্রাইকিং টিম, কুইক রেসপন্স টিম, বোমা ডিসপোজাল ইউনিট কাজ মাঠে ছিল। এর মধ্যে চার প্লাটুন সেনা সদস্য, র্যাবের চারটি দল, সাত প্লাটুন বিজিবি, চার প্লাটুন আনসারও টহলে ছিল। আর নির্বাচনী মাঠে সার্বক্ষনিক দায়িত্ব পালন করেন জুডিশিয়াল এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও।