৬ জানুয়ারি, আলিঙ্গন দিবস। আজ একে অপরকে আলিঙ্গন করার দিন। এর মাধ্যমে মেলে স্বস্তি ও উষ্ণতা। ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবেও করা হয় আলিঙ্গন। কাকতালীয়ভাবে এ সময় বছরের সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা থাকে। তাই প্রয়োজন উষ্ণতা! আর এর অনেক উপায় রয়েছে। কথিত আছে তিনটি কুকুর শরীরে সঙ্গে জড়িয়ে রাত কাটিয়ে দেওয়া উষ্ণ থাকার একটি সর্বোত্তম উপায়। উন্নত বিশ্বে মানুষ কুকুর, বিড়াল এসব প্রাণী পুষে থাকেন। বাংলাদেশেও অনেকের বাসায়ই রয়েছে কুকুর, বিড়াল। আর সেখান থেকে তিনটি কুকুরের সঙ্গে আলিঙ্গনের বিষয়টি এসেছে বলে অনেকের ধারণা! তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটি ভিন্ন। তাই পোষ্য প্রাণী নয়, বরং মানুষের সঙ্গে আলিঙ্গনই বেশি দেখা যায়। আর এর একাধিক সুবিধাও রয়েছে। সেই থেকে হয়তো এমন দিবসের সূচনা হতে পারে বলেও মনে করেন অনেকে! মূলত আমেরিকায় এ দিনটি উদযাপিত হয়। তবে কবে, কীভাবে এই দিবসটির সূচনা হয়েছে জানা যায়নি। এই দিনটিতে শুধু যে প্রেমিক-প্রেমিকা কিংবা স্বামী-স্ত্রীই একে অন্যকে জড়িয়ে ধরবেন, তা কিন্তু নয়। বাবা-মা, ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়স্বজন যে কাউকে জরিয়ে ধরতে পারেন। এতে একে অপরের প্রতি আন্তরিকতা বাড়ে। এটি আমাদের মানসিকভাবে ভালো রাখে। এ ছাড়া আলিঙ্গনের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। আলিঙ্গন মানুষের ভয় দূর করে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এটি হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি কমায়। আর এ নিয়ে বিভিন্ন সময় গবেষণা চলতে দেখা গেছে। একটি গবেষণায় জানা যায়, আলিঙ্গন অক্সিটোসিন নিঃসরণ করে। এই হরমোনের বিশাল স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এটি আমাদের উষ্ণ অনুভূতি দেওয়ার পাশাপাশি শারীরিক ব্যথা কমায়। অক্সিটোসিন রক্তচাপ, স্ট্রেস, উদ্বেগ এবং হৃদরোগের মতো সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে। আলিঙ্গনে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। এতে মানসিক অবসাদ কমে মনে আনন্দের অনুভূতি তৈরি হয়। দুশ্চিন্তা কমে গিয়ে স্বস্তি আসে। এখন শীতকাল। বাইরে তীব্র ঠান্ডায় একটু উষ্ণতার অভাবে কষ্ট পাঁচ্ছে কতশত অসহায় মানুষ। আর সেসব মানুষদের মাঝে আলিঙ্গনের উষ্ণতা ছড়িয়ে দিতেই দিবসটির যাত্রা শুরু। আপনি চাইলে, দিবসটিতে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী শীতার্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে পারেন। একা সম্ভব না হলে বন্ধু-বান্ধব ও পরিচিতদের সাহায্য নিন। সবাই মিলে চাঁদা তুলে শীতের পোশাক ও কম্বল কিনে অসহায়দের মাঝে বিলিয়ে দিতে পারেন। আর এভাবেই ছড়িয়ে দিন আলিঙ্গনের উষ্ণতা। লেবুর রস ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কাজে লাগে। তবে সরাসরি লেবুর রস ত্বকে ব্যবহার না করাই ভালো। কোনো উপকরণের সঙ্গে মিশিয়ে তারপর ব্যবহার করুন। ত্বকে স্ক্রাব করার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যায় পাতিলেবুর রস। শীতে যাদের ঠোঁট ফেটে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায় তারা অল্প চিনি কিংবা মধুর সঙ্গে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এই সুগার স্ক্রাবের সাহায্যে ঠোঁট ফাটার সমস্যা কমবে।