জাতীয় পার্টি জেপির চেয়ারম্যান ১৪ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা সাতবারের সংসদ সদস্য নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে হারিয়ে বেসরকারিভাবে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন পিরোজপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রশাসক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজ। তিনি একসময় আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর একান্ত ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-২ (কাউখালী-ভান্ডারিয়া-নেছারাবাদ) আসনে ৩২৫৪৮ ভোটের ব্যবধানে মহিউদ্দিন মহারাজ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজ পেয়েছেন ৯৪৫৪৪ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পেয়েছেন ৬১৯৯৬ ভোট। এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪শত ৯৩ জন। তিনটি উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে কাউখালী উপজেলায় থেকে ঈগল প্রতীকের মহিউদ্দিন মহারাজ পেয়েছেন ১৩২৭০ভোট, নৌকা প্রতীকের আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পেয়েছেন ৯৮৭৪ ভোট। ভান্ডারিয়া উপজেলায় ঈগল প্রতীক পেয়েছেন ৪০৬০৭ ভোট, নৌকা প্রতীক পেয়েছেন ২৬০৬১ ভোট। নেছারাবাদ উপজেলা থেকে ঈগল প্রতীকের মহিউদ্দিন মহারাজ পেয়েছেন ৪৫৮৪৬ ভোট আর নৌকা প্রতীকের আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পেয়েছেন ৩৪৫৯৮ ভোট। রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তি, শৃঙ্খলাভাবে একটানা ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে ভোটার উপস্থিতি ছিল কম। কেন্দ্রগুলোতে পুরুষ ভোটারের তুলনায় নারী ভোটারের উপস্থিতি বেশী। দিনভর আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও কাউখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট সজল মোল্লা সহ আরো ২জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে স্টাইকিং ফোর্সদের টহল দিতে দেখা গেছে। বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়ে মহিউদ্দিন মহারাজ তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমাকে নির্বাচিত করায় এই আসনের সাধারণ মানুষ ভোটার এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমি ঋনি। আমি আপনাদের মানুষ যতদিন বেঁচে আছি আপনাদের পাশে থেকে সেবা করে যাবো। এবং এই আসনে উন্নয়নের যে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছিল আমি তা দূর করবো।