সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটেছে সিলেট ৫ আসনে। আলোচিত এ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ১৪ হাজার ২১৬ ভোটের ব্যবধানে নৌকার প্রার্থীকে হারিয়ে চমক দেখালেন আল্লামা ফুলতলী হুজুরের ছোট ছেলে মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী। আলিম উলামাদের আসন হিসেবে বৃহত্তর সিলেটে পরিচিত জকিগঞ্জ কানাইঘাট আসনে তৃতীয় আলিম হিসেবে হুছামুদ্দীন চৌধুরী এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে এ আসনে আল্লামা উবায়দুল হক ও অধ্যক্ষ মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী কেটলি প্রতীকে পেয়েছেন ৪৭,১৫৩ ভোট, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ নৌকা প্রতীকে ৩২,৯৩৭ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. আহমদ আল কবির ট্রাক প্রতীকে ২০,২৩০ভোট। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ত্রিধারায় বিভক্ত ছিল। একাংশ নৌকার পক্ষে কাজ করলেও অপর দুই অংশ স্বতন্ত্র দুই প্রার্থীর পক্ষে সক্রিয় ছিলেন। নৌকার পরাজয়ের জন্য এ আসনে দলীয় কোন্দল ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করেছে। নৌকার মাঝি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ তিন প্রার্থীর মধ্যে কানাইঘাটে তুলনামূলক অনেক বেশি ভোট পেয়েছেন। ভোটের দৌঁড়ে তিনি পিছিয়ে পড়েন জকিগঞ্জে। বিজয়ী হুছামুদ্দীন চৌধুরীর পরিবারের প্রভাব সিলেট অঞ্চলে সর্বজন স্বীকৃত। প্রার্থী হুছামুদ্দীন চৌধুরীর 'ক্লিন ইমেজ' নির্বাচনে ভোট টানতে সহায়তা করেছে। নির্বাচনী মাঠে তিনি কাউকে আক্রমণ করে বক্তব্য দেননি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নিজের অবস্থান তুলে ধরেছেন। আঞ্জুমানে আল ইসলাহ বৃহত্তর সিলেটের একটি অনিবন্ধিত জনপ্রিয় দল। এ দলের সভাপতির প্রতি দৃষ্টি ছিলো পুরো সিলেটের সচেতন কৌতুহলী মানুষের। সিলেট -৫ আসনে 'তারকা প্রার্থী'হিসেবে হুছামুদ্দীন চৌধুরী নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন।