সৈরাচার বিরোধী ৯০ এর গনঅভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ মনিরুজ্জামান বাদলের ৩২ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে শরণখোলায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (৯জানুয়ারি) উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শোক র্যালী, বাদলের সমাধিতে পূস্পমাল্য অর্পন ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে উপজেলা আওয়ামীলীগসহ জেলা ও কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সকালে পূর্বমাথায় বাদলের নিজ বাড়ির মাঠে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শহীদ মনিরুজ্জামান বাদলের জামাতা এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আজমল হোসেন মুক্তার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন, বাদলের সহধর্মিনী শামিম আরা বাদল, প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা এম এ রশিদ আকন, জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলাম খোকন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন আকন শান্ত, কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান শেখ প্রমুখ। সভা শেষে মনিরুজ্জামান বাদলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি এমপি সোহাগ মনিরুজ্জামান বাদলের রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল সেই স্বৈরশাসকের সামনে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করার জন্য রাজপথে লড়াই সংগ্রাম করেছেন। এলাকার উন্নয়নে দলমত নির্বিশেষে মনিরুজ্জামান বাদলের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য সকলকে সহযোগীতা করার আহ্বান জানান। এলাকায় কেউ যদি কোন রকমের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন তার দায়ভার তাকেই নিতে হবে। প্রশাসন কঠোর হস্তে দমন করবে। আমার কিছু করার থাকবে না। মনিরুজ্জামান বাদলের সহধর্মীনি শামিম আরা বাদল বলেন, মানুষ জন্ম গ্রহণ করলে তার একসময় মৃত্যু আছে। তিনি বেঁচে থাকলে এ অঞ্চলের মানুষের সেবা করতে পারতো। আজ আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। আমি প্রতিষ্ঠিত আমার মেয়ে ঢাবি-র শিক্ষক উষান ও আপনাদের নেতা সোহাগ প্রতিষ্ঠিত। সোহাগের যে আশা ছিল সেই আশা আপনারা পূরণ করেছেন। সোহাগ ও উষানকে আপনাদের কাছে রেখে গেলাম। উপজেলা চেয়ারম্যান শান্ত বলেন, ৩২ বছর ধরে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ এখন পর্যন্ত বাদল চাচার কথা মনে রেখেছে এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সকলকে ধন্যবাদ জানান। ১৯৯২সালের ৯জানুয়ারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের টিএসসি চত্বরে ঈদ পূণমিলনী অনুষ্ঠান চলাকালিন সময় তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে মঞ্চ থেকে ডেকে নিয়ে শামসুন্নাহার হলের পাশে আততায়ীরা গুলি করে হত্যা করে। এরপর থেকে প্রতিবছর কেন্দ্রিয় ছাত্রীলীগের পাশাপাশি শরণখোলায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।