অপারেশন জ্যাকপট’ ছবিতে অভিনয় করছেন মামুনুন ইমন। ১৯ জানুয়ারি মুক্তি পাবে তাঁর অভিনীত ‘কাগজের বউ’ ছবিটি। ইমনের সঙ্গে কথা বলেছেন সুদীপ কুমার দীপ।
একসঙ্গে কোনো কাজ করছেন?
মামুনুন ইমন: আমাদের একটি মিটিং ছিল ১০ জানুয়ারি। সবাই মিলে বসেছিলাম, আড্ডা দিলাম, কাজের কথাও হয়েছে। তবে এখনই সেটা বলতে পারছি না। নিষেধ আছে। খুব শিগগির আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে পারবেন।১৯ জানুয়ারি ‘কাগজের বউ’ মুক্তি পাবে। ছবিটি কেমন সাড়া ফেলবে বলে মনে করছেন?
মামুনুন ইমন: চয়নিকা চৌধুরীর ছবিগুলো দর্শক পছন্দ করে। তিনি নাটকেও দারুণ সফল ছিলেন। এটি পরীমনির সঙ্গে আমার প্রথম কাজ। তা ছাড়া ডি এ তায়েব ভাই খুব কাছের বড় ভাই। সবাই মিলে ছবিটি করেছি। এখন গল্প ভালো না লাগলে তো কাজটি করতাম না। নিশ্চয়ই গল্পে একটা নতুনত্ব আছে। আর সেটা দর্শকের ভালো লাগবে বলে বিশ্বাস।
রায়হান রাফীর ওয়েব ছবি ‘মায়া’তে কাজ করলেন। গল্পটি বাস্তব ঘটনা নিয়ে, অভিজ্ঞতা কেমন?
মামুনুন ইমন: জীবনে প্রথমবার সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি গল্পে অভিনয় করলাম। আমি যে চরিত্রে অভিনয় করেছি সেটি কাছ থেকে দেখেছিও। সাধারণত অন্য ছবিগুলোতে যেসব চরিত্রে অভিনয় করি সেগুলো কাল্পনিক, ফলে নিজের মতো করে উপস্থাপন করার সুযোগ থাকে। আর বাস্তব চরিত্রে অভিনয় করতে গেলে অনেক সীমাবদ্ধতা তৈরি হয়। ওই চরিত্রকে ফলো করতে হয়, তার হাঁটাচলা, কথা বলা-সবই তার মতো করে করতে হয়। বলতে পারেন অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। জানি না কতটুকু উতরাতে পেরেছি, তবে চেষ্টার কমতি ছিল না। রায়হান রাফীর সঙ্গে এটি আপনার প্রথম কাজ। পরিচালক হিসেবে তিনি কেমন?
মামুনুন ইমন: নতুন পরিচালকদের মধ্যে রাফী এক নম্বর অবস্থানে আছেন। শাকিব খান, আফরান নিশোর মতো তারকারা তাঁকে শিডিউল দিয়ে বসে থাকেন। বুঝতে হবে তিনি মেধাবী না হলে দেশসেরা তারকারা তাঁর জন্য অপেক্ষা করতেন না। আমি শুটিংয়ের সময় দেখেছি, রাফী অন্যান্যের চেয়ে আলাদা। সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে শট নেন। যতক্ষণ তাঁর পছন্দ না হয় ‘ওকে’ বলেন না। তাঁর মধ্যে গোঁজামিল দেওয়ার কোনো ইচ্ছে আমি দেখিনি। এটুকু বলতে পারি, আপনারা আজ যে রাফীকে দেখছেন পাঁচ বছর পরে সেই রাফীকে চিনতে পারবেন না। তাঁর যে পরিকল্পনা আমি জানি, পাঁচ বছরে শুধু দেশে নন, দেশের বাইরেও দর্শকরা একনামে চিনবে তাঁকে।
নতুন আর কী করছেন?
মামুনুন ইমন: এখন ‘অপারেশন জ্যাকপট’-এর শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি। এফডিসিতে বড় দুটি সেট পড়েছে। সেখানেই চলছে শুটিং। এরপর খুলনায় শুটিং হবে, দেশের বাইরেও একটি অংশের শুটিং আছে। এর মধ্যে আরো কয়েকটি ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছি। কোনোটিই এখনো চূড়ান্ত করিনি। নতুন বছরে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ভালো বাজেট ও বড় নির্মাতার ছবি ছাড়া করব না। আমার বিশ্বাস, ২০২৪-২৫ সাল চলচ্চিত্রের জন্য দারুণ দুটি বছর হবে। একাধিক ভালো ছবি নির্মাণ করা হবে। তাই যা তা ছবি না করে ভালো ছবির জন্য অপেক্ষা করছি।ক্যারিয়ারের বাইরে ব্যক্তিজীবন কেমন কাটছে?
মামুনুন ইমন: আমি পরিবারকে সময় দিই। এরইমধ্যে পরিকল্পনা করেছি, এই মাসের শেষের দিকে ব্যাঙ্ককে যাব সবাই মিলে। আসলে ক্যারিয়ার আর ব্যক্তিগত জীবন-দুটি আলাদা জিনিস। আমি ব্যক্তিজীবনে পরিবার নিয়ে অনেক সুখী। ওপরওয়ালার কাছে শুকরিয়া আদায় করি।