দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা লালমনিরহাটে পৌষ মাসের শেষে এসে শীত যেন একেবারে জেঁকে বসেছে। গত পাঁচ দিন ঘনকুয়াশা ও শৈত্য প্রবাহে সূর্যের দেখা মেলেনি। এ বছর লালমনিহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঠাণ্ডায় খেটে খাওয়া মানুষেরা বিপাকে পড়েছে।
আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় লালমনিহাটে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ বছর জেলার সর্বনিম্ন।
জেলার গ্রামগঞ্জে ঘুরে দেখা গেছে, কনকনে ঠাণ্ডা ও ঘনকুয়াশায় সড়ক-মহাসড়কে হেডলাইন জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। নদীর চরাঞ্চল এবং তীরবর্তী লোকালয়ের মানুষ শীতে বেশি কষ্ট পাঁচ্ছে। গত পাঁচ দিন ধরে সূর্যের দেখা না মেলায় জনজীবনে ভোগান্তি নেমে এসেছে। সন্ধ্যার পর থেকে ঘনকুয়াশায় রাস্তা-ঘাট, লোকালয় আচ্ছন্ন হয়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গে হিমেল বাতাসে জবুথবু অবস্থা।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার বুড়িরবাজার এলাকার বাসিন্দা আবদুর রহমান (৭৮) বলেন, ‘কনকনে ঠাণ্ডায় আমাদের মতো বৃদ্ধ মানুষের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ।
কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের তিস্তা চরাঞ্চলের বাসিন্দা আজাদুর রহমান (৫২) বলেন, ঠাণ্ডায় কষ্টের শেষ নেই। শীতে ফসলের ক্ষেতও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, জেলার অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। এরইমধ্যে পাঁচ উপজেলায় ২৬ হাজার কম্বল বিতরণ চলমান রয়েছে। আরও ৫০ হাজার কম্বলের চাহিদা পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।