দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা বোরো ধানের বীজতলা কুয়াশার হাত থেকে রক্ষার জন্য বিভিন্ন ধরনের উপকরণ ব্যবহার করছে। গত কয়েকদিনের কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাতের কারণে বোরো ধানের চারাগুলি হলুদ ও বিবর্ণ হয়ে যাচেছ। কাহারোল উপজেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায় চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় এবার বোরো চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৫হাজার ৫শত ৫১ হেক্টর জমিতে। তার মধ্যে হাইব্রিড ধানের ৬শত ৬০ হেক্টর ও উফসি জাতের আবাদ ৪হাজার ৮শত ৯১ হেক্টর। বীজতলা উফসি ২৭৮ এবং হাইব্রিড ১৭ হেক্টর জমিতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। রোববার সকাল ১১টায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের হাত থেকে বোরো বীজতলাকে রক্ষা করার জন্য কোনো কোনো কৃষক পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে দিচ্ছে আবার কোনো কৃষক প্রতিদিন বীজতলাতে মেশিন দিয়ে পানি সেচ দিচ্ছেন। উপজেলার ডহন্ডা গ্রামের কৃষক হাসান বলেন, তিনি এবার ৫একর বোরো ধান লাগাবেন তাই তিনি বোরো বীজতলায় বীজ বোপন করেছেন। কিন্তু কুয়াশার কারণে বীজতলার বোরো চারাগুলি হলুদ ও বিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। একই গ্রামের কৃষক সুজন বলেন, বীজতলাকে কুয়াশার হাত থেকে রক্ষার জন্য ৩-৪দিন পর পর কুয়াশার বিষ প্রয়োগ করতে হচ্ছে জমিতে। এই ব্যাপারে কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা বলেন, কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের কারণে তেমন ধরনের বোরো বীজতলা ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা নেই। তিনি বলেন, কৃষকদের বীজতলায় পলিথিন ও পানি দেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।