চাঁদপুর জেলা কারাগারের হাজতি নং ৬৩৬০/২৩ স্ত্রী ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামি ব্রজলাল চন্দ্র পাটিকর (৬২) নামে এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকাল সাড়ে ৭টায় ২৫০ শয্যা বিশিস্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। হাসপাতালের দায়িত্ব চিকিৎসক ডাঃ ওমর ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ব্রজলাল হার্ট এটাকে মৃত্যু বরণ করেন। কারাগার থেকে তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আনা হলে আমরা পরীক্ষা করে দেখি তার ডায়বেটিসসহ নানা জটিলতার কারণে তিনি এই হার্ট এটাক করেছেন। চাঁদপুরজেলা কারাগারের জেলার মো.মনির হোসাইন বলেন, কচুয়া উপজেলার কড়ইয়া গ্রামের মৃত রাখাল চন্দ্র পাটিকরের ছেলে ব্রজলাল চন্দ্র পাটিকর কচুয়া থানার একটি হত্যা মামলায় বিচারাধীন অবস্থায় গত ২৮ ডিসেম্বর কারাবন্দি হন। আজ ভোর ৬টা ৫০ মিনিটের সময় তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে আমরা তাকে তাৎক্ষনিক চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসি। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃৃত্যূ হয়। সূত্র জানায়, ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ব্রজলাল পাটিকরের দ্বিতীয় স্ত্রী রাখি রানী সাহা(৩৫)কে ধর্ষণ করে হত্যার পর দুবৃর্ত্তরা কচুয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ফেলে যায়। পরে এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি পৃথক দুটি মামলা হয়।এক মামলায় ব্রজলালকে আসামি করে কচুয়া থানা পুলিশ একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তখন ব্রজলাল ভয়ে ভারতে গিয়ে ৫ বছর আত্মগোপনে থাকেন। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এলাকায় আসেন। ওই ঘটনায় প্রথম মামলায় ব্রজলাল আসামি থাকায় আদালত তাকে গত ২৮ ডিসেম্বর,২০২৩ তারিখ জেলা কারাগারে পাঠান।সতের দিন কারাগারে থাকা অবস্থায় ১৪ জানুয়ারি রোববার সকালে তিনি মারা যান। তাদের ভাগিনা কৃষ্ণ পাটিকর বলেন,আমার মামির হত্যার ঘটনায় মামাকে মিথ্যা মামলায় আসামি করায় অসুস্থ হয়ে মারা গেলেন। তার মামা মৃত ব্রজলাল পাটি কর কচুয়া পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন বলে জানান ভাগিনা কৃষ্ণা। এ ব্যাপারে চাঁদপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এআরএম জাহিদ হাসান বলেন,ব্রজলালের লাশ নিতে তার পরিবারের লোকজন আসেন আমরা লাশের সুরতাল করে কোনো কিছুই পাইনি। তারপরও আইনগত প্রক্রিয়ায় আমরা ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবো।