অনেক চাপের মধ্যেই দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে বহু চাপ... গভীর চাপ, মধ্যম চাপ - নানা ধরনের চাপ ছিল। নানা চাপ উৎরে নির্বাচন হয়ে গেছে। সুতরাং আমরা কারও কোনো চাপ কখনও অনুভব করি না। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন পারসেপশন থাকে। আমরা সেগুলোকে ভ্যালু করি। তবে দিন শেষে সবাই আমরা একযোগে কাজ করবো। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়ে টানা চতুর্থবার সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। নতুন মন্ত্রিসভায় প্রথমবারের মতো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়ে রোববার প্রথমবারের মতো দপ্তরে আসেন আগের মেয়াদের তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। নতুন সরকারের সঙ্গে সবাই কাজ করবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরাও সবার সহযোগিতা নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। ৫২ বছরের পথচলায় সবাই আমাদের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে এবং সবার সহযোগিতায় স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমা কয়েকটি দেশের নেতিবাচক মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশের নানা পারসেপশন, ন্যারেটিভ থাকে। কিন্তু দিন শেষে সবাই এক সঙ্গে কাজ করবো, এটাই হচ্ছে মূল বিষয়। সবাই আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। সবাইকে সঙ্গে নিয়েই আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। তবে আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্বের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের কনসার্নগুলোকে আমরা মূল্য দেবো। আমরা কোনো চাপ অনুভব করছি না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা পূর্ব-পশ্চিম সবার সহযোগিতায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। গত ৫২ বছরে আমাদের যে অর্জন তাতে উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা ছিল। রোহিঙ্গা ইস্যুতে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা অব্যাহত আছে। কূটনৈতিকভাবে এই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করি। নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দিয়েছে, এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে সব দেশেরই ন্যারেটিভ থাকে। তবে দিন শেষে আমরা সবাই একযোগে কাজ করবো। এক প্রশ্নের উত্তরে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ইকোনমিক ডিপ্লোম্যাসিতে গুরুত্ব দিতে চাই। আমরা শুধু পশ্চিমা নয়, পূর্বদিক ও আফ্রিকা অঞ্চলে বাজার সম্প্রসারণে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মন্ত্রণালয়ে এলে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০০৯ সালে ছয় মাসের জন্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন ড. হাছান মাহমুদ।