গত কয়েক বছরে আমূল পরিবর্তন ঘটেছে সংগীত ইন্ডাস্ট্রিতে। ডিজিটালি গান প্রকাশের পরই এই পরিবর্তনটা শুরু হয়। অ্যালবামের জায়গায় সিঙ্গেল প্রকাশের রীতি শুরু হয়েছে। বিভিন্ন উৎসবে গান প্রকাশের যে ধারা ছিল সেটায়ও প্রভাব পড়েছে। গত দুই বছরে অডিও কোম্পানিগুলো মূলত নাটকের কোম্পানির ভূমিকা পালন করছে। উৎসবে গান প্রকাশ তো দূরের কথা, এ প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যস্ত নাটকের পসরা সাজিয়েছে। নতুন বছরেও অবস্থা অপরিবর্তিত। নতুন বছর উপলক্ষে গান প্রকাশ সেভাবে করেনি কোম্পানিগুলো। বরঞ্চ শিল্পীরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে গান প্রকাশ করেছেন কিছু। অন্যদিকে একটা সময় ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে গান প্রকাশের হিড়িক দেখা যেতো। সেই অবস্থা তো দূরের কথা, এবার নতুন গান প্রকাশের তেমন পরিকল্পনাই নেই। বিশেষ করে বড় কোম্পানিগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ দিবসটিকে উপলক্ষ করে তেমন গান তৈরি হয়নি। বরঞ্চ আগের তৈরি দু-একটি করে গান প্রকাশ করতে পারে এসব প্রতিষ্ঠান। জানুয়ারির ১৪টি দিন চলে গেছে। ভালোবাসা দিবসের বাকি নেই এক মাসও। এ দিবসকে কেন্দ্র করে গানের ইন্ডাস্ট্রিতে কোনো সুখবরই চোখে পড়ছে না। যে সময় শিল্পী, সুরকার ও গীতিকারদের ব্যস্ততায় ডুবে থাকার কথা, সে সময় খুব একটা কাজ দেখা যাচ্ছে না। যদিও হাতে গোনা কিছু ওটিটি ও নাটকের গানের কাজই কেবল হচ্ছে। এ বিষয়ে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর বলেন, এটা হবারই ছিল। কারণ একটা সময় লাগামহীন বিনিয়োগে মিউজিক ভিডিও করা হয়েছে। ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হয় কোম্পানিগুলোর। এখন তারাই নাটক বানাতে চান, গান নয়। কারণ নাটক প্রকাশে মুনাফার দেখা মেলে দ্রুত। যদিও এখানে দায়বদ্ধতার একটা জায়গাও থাকে। তার মধ্যে থেকেও দু-একটি কোম্পানি এখনো গান প্রকাশের ধারা অব্যাহত রেখেছে। এটা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। তবে আমি মনে করি এখন আর আগের দিন নেই। কোম্পানির আশায় বসে থাকার সময় নেই। নিজের ডিমান্ড নিজেকে তৈরি করতে হবে। সেটা হলে নিজেরই নিজের গান ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশ ও সেটা থেকে আয় সম্ভব। নতুনদের সেই বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এদিকে এ বিষয়ে চলতি প্রজন্মের শিল্পী বাঁধন সরকার পূজা বলেন, একটা সময় আমি নিজেও প্রতি ভালোবাসা দিবসে এক কিংবা একাধিক গান প্রকাশ করতাম। কিন্তু এখন কোম্পনিগুলো গানই কম করছে। তাই এবারের ভালোবাসা দিবসেও খুব একটা গান প্রকাশ হচ্ছে না। যদিও আমরা শিল্পীরা এ নতুন বছরে একটা পরিবর্তন চেয়েছিলাম।