পাকিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে এবার বেড়েছে মূল্যস্ফীতিও। প্রতিদিনের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়ে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। পাকিস্তানের লাহোরে প্রতি ডজন ডিমের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০০ পাকিস্তানি রুপিতে। এ ছাড়া সরকার নির্ধারিত ১৭৫ রুপি কেজির বিপরীতে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৫০ রুপি। স্থানীয় সরকার পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিলেও তা মানছে না ব্যবসায়ীরা। গত ডিসেম্বর মাসে অর্থনৈতিক সমন্বয় কমিটি (ইসিসি) ন্যাশনাল প্রাইস মনিটরিং কমিটিকে (এনপিএমসি) প্রাদেশিক সরকারের সঙ্গে নিয়মিত সমন্বয় অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছে। বাজারের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং মজুত ও মুনাফাবৃত্তি ঠেকাতে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু তারপরও পণ্যের দামের লাগাম টানা যায়নি। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে নভেম্বর মাস পর্যন্ত পাকিস্তানের ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩ হাজার ৩৯৯ ট্রিলিয়ন রুপি যা আগের তুলনায় ১২ দশমিক ৪৩০ ট্রিলিয়ন রুপি বেড়েছে। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণ ৪০ দশমিক ৯৫৬ ট্রিলিয়ন রুপি এবং বৈদেশিক ঋণ ২২ দশমিক ৪৩৪ ট্রিলিয়ন রুপি। বিশ্ব ব্যাংক বলছে, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়ন শুধু উচ্চবিত্ত শ্রেণির মধ্যে সীমাবদ্ধ। ফলে অর্থনৈতিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটি তার সমপর্যায়ের দেশগুলোর থেকে পিছিয়ে রয়েছে।