ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পরিবেশের আইন অমান্য করে পতিত জমিতে ড্রেজারে মাটিকাটার কাজ বন্ধ করে দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের ধর্মতীর্থ এলাকায় ড্রেজারে মাটিকাটা অবস্থায় বন্ধ করা হয়েছে। একই ইউনিয়নে সরকারী খাল ভরাটের কাজ বন্ধ করে ইউএনও কাগজপত্র দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন। নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তর সূত্র জানায়, ধর্মতীর্থ এলাকায় বসতবাড়ি সংলগ্ন স্থানে ও আকাশি হাওরে দীর্ঘদিন ধরে দিনে রাতে চলছে ফসলি জমির মাটি কাটার কাজ। এক শ্রেণির দালাল জমির মালিকদের ফুঁসলিয়ে স্বল্পমূল্যে জমির টপসয়েল ক্রয় করছেন। পড়ে চড়া দামে উপজেলার বাহিরে ওই মাটি বিক্রয় করছেন। নিজেরা পাহাড়ায় থেকে রাতের অন্ধকারে স্থানীয় ও বিভিন্ন ধরণের ট্রাক দিয়ে জমির টপসয়েল কেটে মাটি গুলো দেদারছে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে নিয়মিত। সাধারণ কৃষক ও জনগণ প্রতিবাদ করলেও কোন ফল হয়নি। পুলিশ ওই মাটি বহনকারী ট্রাক্টর আটক করলেও তদবিরের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছেন একাধিকবার। একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, টপসয়েলের মাটিকাটার সাথে ক্ষমতাসীন দলের জেলা ও উপজেলার অনেক নেতা জড়িত। এরই ধারাবাহিকতায় গত কয়েকদিন ধর্মতীর্থ এলাকায় পতিত জমিতে পাইপ ব্যবহার করে ড্রেজারে মাটি কাটছিলেন জনৈক ব্যক্তি। গতকাল দুপুরে ঘটনাস্থলে হাজির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া। এ সময় ক্রেতা বিক্রেতা ও ড্রেজার মালিক সটকে পড়েছিলেন। পরে ইউএনও ওই ড্রেজারে মাটিকাটার কাজ বন্ধ করে দিয়ে আসেন। ইউএনও বলেন, ড্রেজারে এভাবে মাটিকাটা পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর। ইচ্ছে করলেই যে কেউ এমনটা করতে পারেন না। তাই ড্রেজারে মাটিকাটা বন্ধ করে দিয়েছি। এরপরও যদি মাটি কাটেন তবে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।