৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা সদর আসনে অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের জয় হয়েছে। আমি এ মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলছি সাতক্ষীরায় কোন অন্যায় অবিচার করে কেউ ক্ষমা পাবে না। আপনারা জানেন গত দশ বছরে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছে। বিশেষ করে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব ধ্বংস করা হয়েছে। সাতক্ষীরা চেম্বার অফ কমার্সটি অচলাবস্থা করে সন্ত্রাসী আখড়ায় পরিণত করা হয়েছে। কার শক্তির বলে বিএনপি নেতা চেম্বার অফ কমার্স দখল করে রেখেছেন। তার খুঁটির জোর কোথায়? ভোমরা স্থল বন্দরে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন পকেট কমিটি গঠন করে ব্যবসা-বাণিজ্য ধ্বংস করা হয়েছে। সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতিতে যারা নেতৃত্ব দিতে পারে তাদেরকে বসাতে হবে। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে যাতে প্রকৃত সাংবাদিকরা পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে এবং নেতৃত্ব সাংবাদিকদের হাতেই থাকে আমাদের সবাইকে মিলে সেই কাজ করতে হবে। ভোমরা স্থল বন্দরকে আধুনিকায়ন, সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলকে পুনরায় চালু করা, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করা এবং যুব সমাজকে বেকারত্ব মুক্ত করা, সাতক্ষীরা থেকে দুর্নীতি বিতাড়িত করাই আমার প্রধান লক্ষ্য। গত ৭ জানুয়ারি সাতক্ষীরায় অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর জন্য নির্বাচন কমিশন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ৭ তারিখে নির্বাচন হয়েছে আর ৮ তারিখ থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আয়া পদে, পিওন পদে নিয়োগ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। আমি দৃঢ় কন্ঠে বলতে চাই নিয়োগে কেউ অন্যায় করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মেধার ভিত্তিতে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদেরকে চাকরি দিয়ে বেকারত্ব দূর করতে হবে। আমি এর আগের এমপিকে বলতে চাই আপনি যে দুর্নীতি অনিয়ম করেছেন কিসের জোরে করেছিলেন? আপনাকে আইনের আওতায় এবং আপনার বিচারের মুখোমুখি করা হবে। সাতক্ষীরায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবুকে মনোনয়ন দিয়ে পরে তাকে বসিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনে আসাদুজ্জামান বাবু তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়ে সাতক্ষীরার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগ ও জাতীয়পার্টি জোট গড়ে আমাকে বিজয়ী করেছে। আপনারা অনেকে আমাকে না দেখেও আমাকে ভালোবেসে ভোট দিয়ে জয়লাভ করিয়েছেন। আমি আপনাদের ভালোবাসায় মুগ্ধ, চির কৃতজ্ঞ। আমি যদি নির্বাচনী ওয়াদা ভঙ্গ করি এবং আপনাদের কখনো ভুলে যাই, তবে সেদিন আপনারা আমার গলায় গামছা দিবেন। আমাকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দিবেন। জেলা আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম এবং আসাদুজ্জামান বাবুসহ সবাইকে একসাথে নিয়ে কাজ করব। গত দশ বছরের যে অপশাসন এবং যে জঞ্জাল রয়েছে তা দ্রুত সাতক্ষীরা থেকে মুক্ত করা হবে। অপশাসনকে দূর করতে হবে। সাতক্ষীরা জেলা জাতীয় পার্টির আয়োজনে মঙ্গলবার দুপুর ১টায় শহিদ আবদুর রাজ্জাক পার্কে অনুষ্ঠিত নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য আশরাফুজ্জামান আশুকে গণসংবর্ধনার জবাবে সাতক্ষীরা-০২ আসনে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আশরাফুজ্জামান আশু এসব কথা বলেন। জেলা জাতীয় পার্টিার সভাপতি শেখ আজহার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আনোয়ার জাহিদ তপনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মো: নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আ'লীগের যুগ্ম সম্পাদক আলহাজ¦ আসাদুজ্জামান বাবু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আ'লীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান বাবু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবদুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক শাহাজান আলী, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা জাপার সাংগঠনিক সম্পাদক আকরাম হোসেন খান বাপ্পি, কোষাধ্যক্ষ আশরাফ হোসেন, পৌর আ'লীগের সহ-সভাপতি আশরাফুল কবির খোকন, যুগ্ম-সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশি, কামরুল ইসলাম, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কহিনুর ইসলাম, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম বিপুল, শামশুর রহমান সোনা মাষ্টার, কানাইলাল সাহা, পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি পৌর কাউন্সিলর সৈয়দ মাহমুদ পাপা, সাধারণ সম্পাদক আবু সাদেক সহ সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌর সভার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। এর আগে সাতক্ষীরা-০২ আসনে নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য আশরাফুজ্জহামান আশু শপথ গ্রহণের পরে সাতক্ষীরায় আগমন উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌর সভার বিভিন্ন পর্যায়ের শতশত নেতৃবৃন্দ মোটরসাইকেল যোগে সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের কুমিরা বাজারে সমবেদ হয়। সংসদ সদস্য আশরাফুজ্জামান আশু বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুমিরায় পৌছালে ফুল ছিটিয়ে ও ফুলের মালা পরিয়ে দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনতা তাকে বরণ করে নেন।