রেকর্ড কম জন্মহার এবং নতুন করোনভাইরাস সংক্রমণের প্রভাবের কারণে চীনের জনসংখ্যা টানা দ্বিতীয় বছর হ্রাস পেয়েছে। চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, ২০২২ সালের চেয়ে ২০ লাখ ৮০ হাজার কমে ২০২৩ সালে শেষে চীনের জনসংখ্যা ১৪০ কোটি ৯৬ লাখ ৭০ হাজার। এতে গতবছরই চীনকে টপকে জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে এক নম্বরে চলে গেছে ভারত।
তিন বছর কঠোর নীতি ও কোয়ারেন্টিনের ফলে সংক্রমণ কমার ফলে ২০২২ সালে কোভিড নীতি হালকা করে দেয় চীন। এতে গত বছর আবারও কোভিড হানা দেয় চীনে। এতে মোট মৃত্যুহার ৬ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ১১ লাখ, যা ১৯৭৪ সালের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের পর সর্বোচ্চ।
চীনে গত বছর নতুন জন্ম ৯০ লাখ ২০ হাজার এবং জন্মের হার ছিল রেকর্ড পরিমাণ কম, প্রতি হাজারে ৬ দশমিক ৩৯। যা ২০২২ সালের চেয়ে কম। ২০২২ সালে জন্মহার ছিল ৬ দশমিক ৭৭।
জনসংখ্যা কমার ফলে নিম্নমুখী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির আশঙ্কা থাকলেও চীনের দাবি, তাদের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এই তিন মাসে জিডিপি বৃদ্ধির হার বেড়ে হয়েছে ৫ দশমিক ২ শতাংশ। তারা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পেরেছে।
করোনার কড়াকড়ি তুলে নেয়ার পর চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ শতাংশ।