বরিশাল জেলার অন্যতম শষ্য উৎপাদনকারী উপজেলা হিসেবে পরিচিত আগৈলঝাড়া উপজেলা। এই উপজেলায় আগাম ইরি-বোরো চাষে নেমেছে কৃষক-কৃষানিরা। চলতি বোরো মৌসুমের শুরুতেই শীত উপেক্ষা করে জমিচাষদিয়ে ধানগাছের চারা রোপন করার জন্য প্রস্তু করছে। আগে বলদ (গরু) দিয়ে জমি তৈরিকরতো এখন পুরুষ-নারী (কৃষক-কৃষানিরা) মিলে মইদিয়ে বলদ (গরু) কাজকরছে। বীজতলা থেকে বীজ সংগ্রহ করে বোরো ধানের চারা (বীজ) লাগাতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। আগৈলঝাড়া উপজেলা কৃষি অফিস বোরো ধানের ফসলের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধিারণ করেছে ৫২ হাজার ৫০ মেট্ট্রিকটন চাল। পুরাতন পানিতে ধান রোপনকরাতে খরচ কমহয় কৃষকের। উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার সুভাষ চন্দ্র মন্ডল জানান, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে মোট ১০হাজার ৪শ ১০ হেক্টর জমিতে উপশি ও হাইব্রিড ইরি-বোরো চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে আগাম চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪০ হেক্টর জমি। তবে আগাম চাষ বেড়েছে অনেক বেশী। বাকী ১০হাজার ২শ ৩০ হেক্টর জমিতে চাষ হবে হাইব্রীড ধান। উপজেলার বাকাল গ্রামে রিপন ও তার স্ত্রী উষা রানী বাড়ৈ বলেন, জমিতে বলদ (গরু) দিয়ে মইদিতে টাকার দরকার আমরা গরিব মানুষ টাকা নাই। আমার দিনমজুর, মানুষের জমিতে কাজকরে রোজগা করে পরিবার চালাই। আমাদের কাছে টাক না থাকায় নিজেরা মইদিয়ে জমি সমান করে ধানবিজ লাগানোর জন্য জমি তৈরিকরছি। পেটেরদায়ে কাজ করছি। কাজের নময় শীত মনে হয়না। উপজেলার রতœপুর ইউনিয়নে মোল্লাপাড়া গ্রামের ব্লক ম্যানেজার কৃষক কাঞ্চন হাওলাদার ও বরিয়ালী গ্রামের ব্লক ম্যানেজার কৃষক জাহিদুল হক স্যানামত বলেন, এবছর আমরা পুরাতন পানিতে ধানচারা রোপন করছি। পুরাতন পানিতে ধানচারা রোপন করাতে আমাদেও পানি সেচ ও চাষ খরচ লাগেনা। আমারে অনেক খরচ বেচেযায়। আমরা প্রায়জমিতে চারারোপনের কাজ শেষ করে ফেলেছি। সরকার আমাদের সার ও ধানবীজ দিয়েছে। আমরা আসাকরি চলতি বছর আমাদেও ধানের ফলন ভালো হবে। উপসহকারী কৃষি অফিসার (বাকাল ইউনিয়ন দায়িত্বরত) তুলি দাস বলেন, বাকাল ইউনিয়নে প্রায় ৬৫% জমির ধান কৃষকেরা রোপ করেছে। চলতি জানুয়ারি মাসের মধ্যে ১০০% জমি রোপন করা সমাম্পাত হয়ে যাবে। আগৈলঝাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার পিযূষ রায় বলেনছেন, আমারা চলতি বছর উপজেলার ১ হাজার কৃষককে ধানবীজ ও সারদিয়েছি এবং ৫ হাজার কৃষককে ধানবীজ দিয়েছি। চলতি বছর ঘন কুয়াশার কারণে ধানেরবীজ তলায় কিছুটা ক্ষতির প্রভাব পরেছে। যে ক্ষতি হয়েছে তা বড় ধরনের কোন ক্ষতিনা। জমিতে আগাম যে বীজরোপন করা হয়েছে তাতে কো ক্ষতির প্রভাব ফেলতে পারেনাই। চলতি বছর প্রকৃতির কোন দূর্যোগ বা বৈরীআবহাওয়া না হলে এবছরও বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা আছে। এবছর আমাদের লক্ষ্যমাত্রার ছাড়িয়ে যাবার সম্ভবনা রয়েছে।