সিন্ডিকেট করে যারা ডিমসহ বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বাড়াচ্ছে তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আবদুর রহমান। আজ বুধবার দুপুর সোয়া ১২টায় মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন। সব পণ্যই উৎপাদন এবং মজুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এরপরও দাম বেশি কেন, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মাংস, ডিম এবং মাছের মূল্য কেন বেশি, এসব কেন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, যারা সিন্ডিকেট করে ডিমসহ বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বাড়াচ্ছে তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। কোথায় কীভাবে কারসাজি হয় সেটি চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে জনসচেতনতাও বাড়াতে হবে। গরু-ছাগল পালনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ায় দেশে কম প্রবেশের ফলে সীমান্ত হত্যা কমেছে বলেও জানান তিনি। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, মা ইলিশ ও বাচ্চা ইলিশ ধরার যে প্রবণতা ছিল সেটি কমেছে, একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মাছ ধরা নিষেধ করা হয়েছে। আমরা সেটার সুফল পেয়েছি। এ বিষয়টি অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি মৎস্যজীবীদের যে প্রণোদনা দেওয়া হয়, সেটা একটু বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করবো। যাতে তাদের প্রণোদনা বাড়িয়ে মাছ ধরার নিষিদ্ধের সময়টা আরেকটু বাড়ানো যায়। তাতে আমরা আরও সমৃদ্ধ হবো। মন্ত্রী বলেন, আমি একটা সম্পূর্ণ নতুন জায়গায় এসেছি। এই জায়গাটা নিয়ে আমার কোনো অভিজ্ঞতা হয়ে ওঠেনি। সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকার একটি পরিপূর্ণ অংশ এই মন্ত্রণালয়টি। মানুষের দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয়তা, বিশেষ করে পুষ্টিজনিত খাবারের ব্যাপারটি এই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জড়িত। সে ক্ষেত্রে এই জায়গাটিতে কিছু মৌলিক কাজ আছে, সেগুলো আমাদের করতে হবে। তিনি আরও বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, আমরা এখন সারা পৃথিবীতে তৃতীয় অবস্থানে আছি। আমরা যাতে আরও বেশি দূর যেতে পারি, এমনকি আমাদের অবস্থান, আরও উন্নততর পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আবদুর রহমান বলেন, আজ আমরা মাছে ও গবাদিপশুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ। প্রতিবছর ঈদুল আজহায় যে এক কোটি পশু কোরবানি হয়, সেটার জন্য বাইরে থেকে আমদানি নির্ভরতা একেবারেই নেই। এতে দুটো জিনিস হয়েছে। এ সমস্ত গরু-ছাগল আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে সীমান্ত হত্যাটা হতো। যেহেতু বাইরে থেকে গবাদিপশু আনা বন্ধ হয়েছে, সেহেতু সীমান্ত হত্যাটাও কমে গেছে, নেই বললেই চলে। আমাদের এখন ডেইরিতে আরও কিছু কাজ করার প্রয়োজন। দুধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হলে আরও কিছু কাজ করতে হবে।এদিকে রমজানকে সামনে রেখে চাল ডালের মতো প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য মাছ, মাংস ও ডিম ন্যায্যমূল্যে বিক্রি হবে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন। সব পণ্যই উৎপাদন এবং মজুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এরপরও দাম বেশি কেন, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মাংস ডিম এবং মাছের মূল্য কেন বেশি, এসব কেন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মন্ত্রী বলেন, রমজানকে সামনে রেখে, সরকার ভর্তুকি দিয়ে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। রমজানের কয়েকদিন আগে থেকেই এ কার্যক্রম শুরু হবে। বস্তি এলাকা এবং কিছুটা দরিদ্রপ্রবণ এলাকায় এ কার্যক্রম চলবে। তিনি বলেন, যারা সিন্ডিকেট করে ডিমসহ বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বাড়াচ্ছে তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। কোথায় কীভাবে কারসাজি হয় সেটি চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে জনসচেতনতাও বাড়াতে হবে। গরু ছাগলে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ায় সীমান্ত পথে তা দেশে প্রবেশ কমার ফলে সীমান্তে হত্যা কমেছে বলেও জানান তিনি।