চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সিএনজি চালিত অটো রিক্সার ভাড়া দ্বিগুণের ও অধিক হারে আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে উপজেলার আওতাধীন সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গ্যাস সববরাহ বন্ধ থাকায় গাড়িতে গ্যাস নিতে না পেরে চালকেরা যাত্রীদের কাছ থেকে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের করছে আলাপকালে বেশ কয়েকজন চালক জানান। গ্যাসের কারণে সড়কে সিএনজি চালিত গাড়ি বিশেষ করে অটোরিকশা চলাচল কমে গেছে। যাত্রীর তুলনায় সড়কে গাড়ির সংখ্যা কম হওয়ায় চট্টগ্রাম-হাটহাজারী-নাজিরহাট মহাসড়ক, হাটহাজারী-রাউজান মহাসড়কে সিএনজি চালিত অটো রিক্সাগুলো গ্যাস না পেয়ে অলস বসে রয়েছে। কষ্ট করে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে যেসব চালক গাড়িতে কিছু গ্যাস নিতে পড়েছে তারাই গাড়ি চালাচ্ছে। বেশ কিছু চালকের সাথে কথা বলে জানা গেছে জ্বালানির জন্য ফিলিং স্টেশন দীর্ঘদিন লাইন ধারে অপেক্ষা করার পর যেই মুহূর্তে গ্যাস নিতে যাবে সেই সময় গ্যাস বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে তারা আর গ্যাস নিতে পারেনি। যেসব চালক গ্যাস নিয়েছে, নির্ধারিত টাকা পরিশোধ করে ও গ্যাসের চাপ কম থাকায় তারা পরিমিত গ্যাস নিতে পারেনি। রাউজান মহাসড়কে হাটহাজারী থেকে ইছাপুরের নির্ধারিত ভাড়া দশ টাকা হলেও শুক্রবার বিশ টাকা করে আদায় হয়েছে বলে জানান কয়েকজন যাত্রী। এদিকে হাটহাজারী থেকে মীরেরহাটের সিএনজির নির্ধারিত ভাড়া দশ টাকা হলেও শুক্রবার বিশ টাকা আদায় হয়েছে বলে জানান বেশ কয়েক যাত্রী। তাছাড়া হাটহাজারী থেকে সরকারহাটের নির্ধারিত ভাড়া পনের টাকা হলে ও গতকাল ত্রিশ/পঁয়ত্রিশ টাকা আদায় করা হয়েছে বলে একাধিক যাত্রী গনমাধ্যকে জানান। এতে করে কম টাকা উপার্জনকারীরা সীমাহীন বেকায়দায় পড়েছে। নিদিষ্ট গন্তব্যে যাওয়ার জন্য গাড়ি না পেয়ে যাত্রীদের সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। বিশেষ করে মহিলা যাত্রীদের সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। জনস্বার্থে এ ব্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্হা গ্রহনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ভুক্তভোগী মহল।