রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা এখন মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। বিশেষ করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষনার পর থেকেই অনেক প্রার্থীর ঘুম হারাম হয়ে গেছে। তারা পুরাতন কর্মী আত্মীয়-স্বজনদের খোঁজ খবর নেয়া শুরু করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্বশুরবাড়ী এবং তার ও জাপা চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের নির্বাচনী আসন এটি। এ আসনে জাপা ২ যুগ রাজত্ব করেছিল। আবার ৩৫ বছর পর আ.লীগ আসনটি উদ্ধার করে। দু’বারের সাবেক সংসদ সদস্য ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মন্ডল নুরু মন্ডল আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও নিশ্চিত প্রার্থী হচ্ছেন। জাপা’র নুর আলম যাদুর যিনি সদ্য সম্পন্ন সংসদ নির্বাচনে জামানত হারিয়েছেন। তিনিও বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন। এবারেও তিনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন মর্মে শোনা যাচ্ছে। এখানে বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা নড়বড়ে হওয়া ছাড়াও নির্বাচন বর্জনের দলীয় সিদ্ধানের কারণে বিএনপির কেউ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না,এটা নিশ্চিত। আওয়ামী লীগের সাবেক সম্পাদক জাহাঙ্গির হোসেন চৌধুরী ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ইতঃপূর্বে নির্বাচন করেছেন। এবারেও তিনি প্রার্থী হতে পারেন। আওয়ামী লীগের দলীয় ব্যানারে নির্বাচন করে নুর মোহাম্মদ মন্ডলের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন ছায়াদত হোসেন বকুল। বর্তমানে তিনি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক। যদিও এখন আর সেই ইমেজ নেই তবুও তিনি প্রার্থী হচ্ছেন। ইতিমধ্যেই ডিজিটাল পোষ্টারে ছেয়ে দিয়েছেন গোটা উপজেলার দর্শনীয় স্থান সমুহ। উপজেলার প্রত্যন্ত জনপদগুলোতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড় ঝাঁপ শুরু হয়ে গেছে ইতোমধ্যেই। প্রত্যেক প্রার্থীই এখন গন সংযোগে ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছেন। কয়েকদিন পুর্বেও এসব প্রার্থীর আনেকেই জাতীয় নির্বাচনে স্ব স্ব মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনার কাজে ব্যাস্ত ছিলেন। সামান্য বিশ্রামের পর আবারও এদের দৌড়ঁঝাপ। পুরোনো সস্মর্কের জের ধরে গোটা উপজেলার ১৫ ইউনিয়নের ৩০৮ টি গ্রাম চষে বেড়াচ্ছেন তাঁরা। এদের মধ্যে নুর মোহাম্মদ মন্ডলের উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন অনেকটাই নিশ্চিত। কারণ সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে স্পিকারকে সমর্থন দিয়ে তার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ নিয়ে ক্ষমতাসীন দলে নিজের আসনকে পাকাপোক্ত করেছেন তিনি। গোটা উপজেলায় তার বিশাল নেটওয়ার্ক ও কর্মীবাহিনী রয়েছে। পীরগঞ্জের সাধারন মানুষের কাছে তিনি নিজেকে গ্রহনযোগ্য আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সাবেক সম্পাদক জাহাঙ্গির হোসেন চৌধুরী ও ছায়াদত হোসেন বকুলের সেই অবস্থান নেই। যদিও এ তিন জনই আওয়ামী লীগ এর মনোনয়ন প্রত্যাশী। নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন। তবুও মনোনয়ন প্রাপ্তির দৌড়ে নুর মোহাম্মদ মন্ডল অনেক এগিয়ে রয়েছেন। তার পরেও শেষ পর্যন্ত কে মনোনয়ন পাচ্ছেন ? তা এখনও কেউই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। জাতীয় পার্টির আগের অবস্থান আর নেই। সাংগাঠনিক কাঠামো একেবারেই ভেঙ্গে চুর্মার হয়ে গেছে। গত সংসদ নির্বাচনে তাই নুরে আলম যাদু জামানত হারিয়েছেন। তবুও তিনি আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী।