বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নে লাইসেন্স বিহীন সুন্দরবন হাসপাতাল এ-ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে সিজারিয়ান অপারেশন করতে গিয়ে ভুল চিকিৎসায় প্রসুতি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ওই হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে। এদিকে এক পক্ষ ওই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এর মুক্তির দাবী ও ভুক্তভোগী পক্ষ আসামীদের ফাঁসীর দাবীতে পাল্টা পাল্টি মানববন্ধন করেছে। মঙ্গলবার(২৩ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও স্থানীয়দের আয়োজনে ডৌয়াতলা বাজারে সুন্দরবন হাসপাতাল এ- ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন করা হয়েছে। এ সময় প্রায় ঘন্টাব্যাপী পাথরঘাটা-ঢাকা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিলো। মানববন্ধনে ওই ইউনিয়নের তিনসহ¯্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এদিকে বামনা উপজেলা পরিষদের সামনে নিহত ওই প্রসুতির পরিবারের পক্ষে দুপুরে আসামীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টন্তমুলক শাস্তির দাবীতে পাল্টা মানববন্ধন করেছেন। মানববন্ধনে ভুক্তভোগী পরিবার সাংবাদিকদের জানান, তারা মামলা করে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের পরিবারের সদস্যদের চেয়ারম্যানের স্বজন ও কর্মীরা প্রতিনিয়ত হুমকিধামকী প্রদান করছেন। নিহত মেঘলা আক্তারের মা পারভিন আক্তার বলেন, আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই। এরসাথে জড়িত চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতালের মালিকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি। সকালে ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে করা মানববন্ধনে বক্তব্যদেন, বামনা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাইতুল ইসলাম লিটু, বামনা সদর ইউপি চেয়ারম্যান চৌধূরী কামরুজ্জামান সগির, রামনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জমাদ্দার, বুকাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সবুজ ও ডৌয়াতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. আ. জলিল। চেয়ারম্যানের পক্ষে করা মানববন্ধনে বক্তারা হুশিয়ারী করে বলেন, দুই একদিনের মধ্যে মিজানকে মুক্তি দেওয়া না হলে তারা কঠোর কর্মসূচি গ্রহন করবেন। জানাগেছে, গত ১৫ জানুযারি সোমবার রাতে ডৌয়াতলা সুন্দরবন হসপিটাল এ- ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় প্রসুতি ও তার গর্ভের সন্তানের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৮জন আসামীর মধ্যে তিন নম্বর আসামি ওই ক্লিনিকের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানকে পালাতক অবস্থায় রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাকে বরগুনা কোর্টে নেওয়া হলে বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠায়।