নওগাঁর মান্দায় পরোয়ানাভূক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম গোলাম আজমের বিরুদ্ধে। ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা ও হুমকি-ধামকির অভিযোগ এনে চেয়ারম্যান গোলাম আজমের বিরুদ্ধে সাধারণ ডাইরি করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, নহলা কালুপাড়া গ্রামের কাজী শফিকুল ইসলাম বিদ্যুৎ (৪০) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতের দুটি গ্রেপ্তারী পরোয়ানা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি পলাতক আছেন। সোমবার তিনি বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে অবস্থান করছেন এমন সংবাদে থানার উপপরিদর্শক আবু সামা ও সহকারী উপপরিদর্শক ফরহাদ হোসেন সেখানে অভিযান দেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামি কাজী শফিকুল ইসলাম বিদ্যুৎ পালানোর সময় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আজম আসামি বিদ্যুতকে গ্রেপ্তারে বাধা প্রদানসহ উষ্কানিমুলক বক্তব্য দিয়ে তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজনকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করেন। একই সময় তিনি পুলিশকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ দেখে নেওয়ারও হুমকি দেন। এ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান এসএম গোলাম আজম বলেন, পারিবারিক বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য কাজী শফিকুল ইসলাম বিদ্যুৎ ও তাঁর প্রতিপক্ষকে পরিষদে ডেকে নেওয়া হয়েছিল। কথাবার্তা চলাকালে জোহরের নামাজের বিরতি দেওয়া হয়। এ সময় পুলিশ এসে বিদ্যুতকে গ্রেপ্তার করে। এতে গ্রামআদালতের মান ক্ষুন্ন হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা বলেন, বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদে সপ্তাহের বৃহস্পতিবার গ্রামআদালতে বিচার কাজ পরিচালনা করা হয়। কিন্তু সোমবার কেন বাদি-বিবাদিকে ডেকে নিয়ে বৈঠক বসানো হয়েছিল এনিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মান্দা থানার পরিদর্শক তদন্ত আবদুল গণি বলেন, গ্রেপ্তারী পরোয়ানাভূক্ত আসামিকে ধরতে গিয়ে চেয়ারম্যান গোলম আজমের বাধার মুখে পড়ে পুলিশ। এ সময় সরকারি কাজে বাধাসহ পুলিশকে হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়। ঘটনায় থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ আবু সামা থানায় সাধারণ ডাইরি করেছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।